ভেট্টোরির সঙ্গে চুক্তি যৌক্তিক বলছে বিসিবি
বেশ চড়া মূল্যে ড্যানিয়েল ভেট্টোরির সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে টাইগার স্পিনারদের ১০০ দিন কোচিং করাবেন তিনি। তবে করোনা সংক্রমণের পর যে সময় ভেট্টোরিকে প্রয়োজন, সে সময় তাকে পায়নি বিসিবি। একে তো চড়া মূল্য, সঙ্গে সময় অনুযায়ী তাকে না পাওয়া, ভেট্টোরির পেছন ব্যয়কৃত অর্থ বিলাসী প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করছেন অনেকেই। তবে বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছে বিসিবি।
বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবার ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকায় আসেন নিউজিল্যান্ড দলের সাবেক অধিনায়ক। এরপর সে বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ভারত সফর করেন তিনি। নিরাপত্তার দোহায় দিয়ে পাকিস্তান সফরে ছিলেন না এই সাবেক বাঁহাতি স্পিনার।
বিজ্ঞাপন
এরপর করোনার কারণে দেশের ক্রিকেট বন্ধ হওয়ার আগে গত মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। সে সময় বাংলাদেশ স্পিনারদের দেখভাল করেছেন ভেট্টোরি। কিন্তু করোনার কারণে ছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে। নিউজিল্যান্ডের কোয়ারেন্টাইন জটিলতা এড়াতেই বাংলাদেশে আসেননি তিনি। ১০০ দিনের চুক্তির বাকি থাকা দিনগুলো নিজ দেশে পরামর্শকের দায়িত্ব নিয়ে কাটিতে দিতে চান ভেট্টোরি।
বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফরে ২০-২২ দিন কাজ করবেন তিনি। যেখানে তার পেছনে বিসিবিকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা গুনতে হবে। যেখানে বিসিবি চেয়েছিল ক্যাম্প চলাকালীন তাকে দিয়ে স্পিনারদের ঝালিয়ে নিতে, সেখানে সিরিজ চলাকালীন ভেট্টোরির কাছ থেকে কতটাই বা শিখতে পারবেন স্পিনাররা?
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন অবশ্য ভেট্টোরির সঙ্গে বোর্ডের বিলাসী চুক্তির বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছেন। বুধবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, ‘উনার মতো একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে আমরা অন্যভাবে দেখছি। বোর্ড মনে করে যে ভেট্টোরির মতো একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকা কিংবা ড্রেসিংরুম শেয়ার করাটা কিন্তু আলাদা মাত্রা যোগ করে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে উনার অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান। সুতরাং বোর্ড যেটা করেছে সবকিছু চিন্তাভাবনা করেই করেছে।’
সুজন যোগ করেন, ‘ভেট্টোরি কিন্তু অনেকদিন ধরে বাংলাদেশ দলের সাথে সম্পৃক্ত আছেন এবং সার্ভিস দিচ্ছেন। কিন্তু করোনার কারণে হয়তো উনার মুভমেন্টে সমস্যা হচ্ছে। মূল বিষয়, উনি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যেখানেই যোগ দেন না কেন, দেশে ফিরে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে এটাই উনার জন্য মূল চ্যালেঞ্জ দেশে ফিরে আবার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন। এজন্য উনি বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফরেই যুক্ত হচ্ছেন।’
টিআইএস