ভেন্যু পরিচিতি
অনেক স্মৃতির অ্যাডিলেড ওভাল
নামিবিয়া-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের মধ্যদিয়ে গত রোববার (১৬ অক্টোবর) থেকে মাঠে গড়িয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। প্রথম রাউন্ড শেষের পর ২২ তারিখ থেকে ১২টি দল নিয়ে হবে সুপার টুয়েলভ। ১৬ দেশের টুর্নামেন্টে মোট ম্যাচ ৪৫টি, আর এই লড়াই হবে ৬টি ভেন্যুতে। এর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভাল।
১৮৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেডিয়ামটি অ্যাডিলেড শহরের প্রাণকেন্দ্র নর্থ অ্যাডিলেডের মধ্যবর্তী পার্কল্যান্ডে অবস্থিত। শহরটি খেলাধুলা, শিল্পকলা এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ভরপুর একটি স্থান। আধুনিকতা এবং ঐতিহ্য, এ দুইয়ের কারণে শহরটি সবার কাছে সমাদৃত।
বিজ্ঞাপন
অ্যাডিলেডের স্টেডিয়ামটিতে একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারেন প্রায় ৫৩,৫০০ দর্শক। ২০১৩ সালে বড় সংস্কারের ফলে ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশ্বমানের ইভেন্ট আয়োজনের জন্য বেশ সুনাম রয়েছে এর। ক্রিকেট, ফুটবল, রাগবি লিগ এখানে নিয়মিতই আয়োজিত হয়ে থাকে। অ্যাডেলে, গানস এন রোজেস এবং রোলিং স্টোনসসহ বিখ্যাত শিল্পীদের কনসার্টও হয়েছে সেখানে।
এই মাঠটিতেই আছে বিশ্বখ্যাত ব্র্যাডম্যান কালেকশন মিউজিয়াম। ২০১৭ সালে দিবা-রাত্রির প্রথম অ্যাশেজ টেস্টের ভেন্যুও ছিল এটাই। স্টেডিয়ামটির সাথে মিশে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম স্মরনীয় এক স্মৃতিও। ২০১৫ সালের ৯ মার্চ এই মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ।
এবারের বিশ্বকাপে মোট ৭টি ম্যাচ আয়োজন করবে অ্যাডিলেড। এখানেই ২ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এবং ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১০ নভেম্বর দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ভেন্যুও ১৫১ বছরের পুরোনো স্টেডিয়ামটি।