আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় বড় ছয় মারার জন্য কিংবা পুল শট খেলার জন্য বিশ্বক্রিকেটে রোহিত শর্মার নাম ডাক বেশ। একইসাথে বিরাট কোহিলর কাভার ড্রাইভ কিংবা ক্লাসিকাল শটের জন্যও পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। তবে এমন সুখ্যাতি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে নেই তেমন একটা! বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন অবশ্য এসব কথা মানতে নারাজ।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বুধবার গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে সুজন জানালেন, রোহিত যে শট খেলেন সেই একই শট বাংলাদেশের কেউ খেলতে পারেনা এমনটা তিনি বিশ্বাস করেন না। একইসাথে তিনি জানালেন বিরাট কোহলি যে শট পারে আফিফও সে শট তার থেকেও ভালো খেলতে পারে। 

আরও পড়ুন>> বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নও হতে পারে বাংলাদেশ : সুজন

সুজনের ভাষ্য, ‘আমরা যে পারি না, রোহিত শর্মা যে শট খেলে, বাংলাদেশের একটা ছেলে সেই শট পারে না। সেটা আমি বিশ্বাসই করি না, কোনো সময় বিশ্বাস করি না। যেটা বিরাট পারে, আফিফ পারবে না এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের আফিফ হয়তো ওর চেয়ে ভালো পারে। আমাদের ওই যে সাহসটা...নিজেদের এক জায়গায় আটকে রাখি বারবার। আমি ওই ব্যারিয়ারটা তুলে দিতে চাই। আমি চাই ওরা ফ্রিডম নিয়ে খেলুক। বোলাররাও যে এক্সিকিউট করতে পারবে না অন্য দেশের বোলারদের মতো, আমি এটা একদমই বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি আমাদের বোলাররা হয়তো অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো। কিন্তু ওই যে সাহসিকতার জায়গাটা, একটা জায়গায় বারবার মার খেয়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি কিছুটা হলেও সাকসেস দেখে গেছি। হয়তো আমরা হেরে গেছি, অনেকে বলতে পারে সাকসেসটা কোত্থেকে এলো। আমি মনে করি ড্রেসিং রুম থেকেই এসেছি। আস্তে আস্তে ছোট পরিবর্তনগুলো হচ্ছে ছেলেদের মানসিকতায়। এটা লং প্রসেস, শর্ট না। আমাদের প্রসেস যদি ঠিক থাকে, আমরা যদি ধৈর্য ধরতে পারি, আমি মনে করি এই ফরম্যাটেও বাংলাদেশ শক্তিশালী দল হতে পারি।’

আরও পড়ুন>> ‘বউয়ের সঙ্গে ঝগড়ার খবর চাকরিতে জানাই না’, মুশফিককে সুজনের খোঁচা

১২ সেপ্টেম্বর থেকে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের ক্যাম্প শুরু করার কথা রয়েছে। এখানে ক্রিকেটারদের জানিয়ে দেওয়া হবে কার কী দায়িত্ব, কী ভূমিকায় থাকতে হবে তাকে। একইসাথে কিছু নতুন ক্রিকেটারও থাকবেন এই ক্যাম্পে এমনটাই ইঙ্গিত সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়কের।

সুজন বলেন, ‘১২ তারিখ থেকে আমাদের ক্যাম্প করার কথা। ১২, ১৩, ১৪ এই তিনদিনে সিনারিও ট্রেনিংই হবে। হয়তো ভেঙে ভেঙে ট্রেনিং হবে। বিভিন্ন নির্দিষ্ট ভূমিকায় ট্রেনিং হবে। যার যেটা ভূমিকা, ওপেনিং ব্যাটাররা কী, টার্গেটটা কী রকম। কিছু নতুন ক্রিকেটারকে হয়তো ডাকা হবে, নতুন বলব না, যারা হয়তো প্রুভেন। দুয়েকজনকে হয়তো নতুনও থাকতে পারে, চমক থাকতে পারে। আমরা ৩০-৩১জন খেলোয়াড়কে আমরা ডাকব। পেস বোলাররা অনেকে থাকবে সাহায্য করার জন্য। সবাই সিলেকশনের জন্য থাকবে এটা ভাবাও ভুল হবে। যেহেতু নতুন লোক শ্রীরাম ক্রিকেটারদের এখনও ওভাবে দেখেনি। ও যেহেতু এখন টি-টোয়েন্টিটা চালাচ্ছে। নতুন কিছু ক্রিকেটারকে দেখানোও আমরা মনে করি দরকার আছে।’

এসএইচ/এনইউ