পাকিস্তানের কাছে হারের মধ্যেও কোহলির বিশ্বরেকর্ড
অনেক চাপ নিয়ে এশিয়া কাপে খেলতে এসেছেন বিরাট কোহলি। দীর্ঘ সময় অফ ফর্মের সঙ্গে যুঝতে থাকা কোহলি ব্যক্তিগতভাবে এশিয়া কাপকেই পাখির চোখ করেছিলেন। তিন ম্যাচের মধ্যে টানা দুই অর্ধশতকে ভালোভাবেই ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে ছিলেন উজ্জ্বল, পেয়েছেন বিশ্বরেকর্ডের দেখা।
সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৮১ রান তোলে ভারত। দলের পক্ষে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ অর্ধশতক নিয়ে এসেছিলেন এশিয়া কাপ খেলতে। হংকংয়ের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৪৪ বলে করেছিলেন ৫৯ রান। পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ইনিংসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার সর্বোচ্চ ৩১ অর্ধশতকের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন কোহলি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এখন এককভাবে সর্বোচ্চ অর্ধশতকের রেকর্ড কোহলির। ৩১ অর্ধশতক নিয়ে তার পরের অবস্থানে রয়েছেন রোহিত, আর ২৭ অর্ধশতক নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম।
সুপার ফোরে প্রতিবেশীদের বিপক্ষে তিনে ব্যাট করতে নেমেছিলেন কোহলি। ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে আসার পর টিকে ছিলেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত। ভারতের ইনিংস গড়ার পেছনে অবদান রেখেছেন, নিজের ব্যাটে রান ফেরানোর মিশনেও সফল হয়েছেন। ১৩৬.৩৬ স্ট্রাইক রেটে ৪৪ বলে ৪টি চার এবং ১টি ছয় সহযোগে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যানদের একজন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে খেলা ১০২টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ৯৪ ইনিংসে ব্যাট করে ৩,৪৬২ রান করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৫০ বলে ৯৪ রান করেছিলেন এই ব্যাটসম্যান।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে গেছে ভারত। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত। ফাইনালে যেতে হলে সেই ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে আনতেই হবে কোহলিদের।
এইচএমএ