এশিয়া কাপ দিয়ে নতুনভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরুর আভাস দিলেও মাঠে তার ছিঁটেফোটাও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। উল্টো ৭ উইকেটে ম্যাচ হেরে বসেছে টাইগাররা। হারের পর মঙ্গলবার রাতে দলের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে ১০-১৫ রান কম করার আক্ষেপে পুড়েছেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।

শারজার উইকেট কিছুটা মন্থর, এটা সবারই জানা। তবে জেনেও কাজের কাজটায় করতে ব্যর্থ হয়েছে সাকিবের দল। আগে ব্যাট করে ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে জমা হয় মোটে ১২৭। অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক মানছেন এ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।তাঁর দৃষ্টিতে মন্থর উইকেটে আর টপ অর্ডারের ব্যর্থতায়  হারের কারণ।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল, বল নিচু হয়ে এসেছে। ওরা ভালো করেছে, ফলে ওদের কৃতিত্ব দিতে হবে। তবে ১০-১৫ রান কম করেছি।’

ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা। সাকিব প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ১১ রান করে ফিরে গেছেন। এরপর দ্রুতই ফিরে যান মুশফিকও। এদিন তিন উইকেট হারানোর পরেও আফগানরা ক্রিজে টিকে থেকে সুযোগ বুঝে শেষদিকের দুই ওভারে জয়ের রান তুলে ফেলেছিল। ফলে মোসাদ্দেকের মতে হাতে উইকেট থাকলে আমাদের পরিস্থিতিও ভিন্ন হতো।

মোসাদ্দেকের ভাষায়, 'এই জিনিসটা আমাদের ব্যাটিংয়ে মিসিং ছিল। আমরাও সেটা করার মতো অবস্থানে প্রায় চলে গিয়েছিলাম। তবে উইকেট হারালে কঠিন হয়ে যায়। উইকেট রাখতে পারলে, ১৫ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতাম, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। ওরা ভালো খেলেছে।’

গতকাল টস জিতেই আগে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এর কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে এই অলরাউন্ডার জানান, 'বিশ্ব ক্রিকেটের সবাই জানে, আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ কতটা শক্তিশালি। সেদিক থেকে চিন্তা করলে, আমাদের অমন বড় টার্ন (বাঁক) করানোর মতো বোলার নেই। রিস্ট-স্পিনারও নেই। সবাই অর্থোডক্স। এভাবে বিশ্লেষণ যদি করেন, বোলারদের জন্য ম্যাচ হেরেছি, ব্যাপারটা আসলে এমন না। এখানে হার্ড লেংথের বল খেলা কঠিন। ১২৭ পর্যন্ত গেছি, সেটি যথেষ্ট ছিল না।’

মোসাদ্দেক আরো বলেন, 'রশিদ খানের বিপক্ষে যদি আপনি ব্যাটিং করেন, তাহলে আপনি চাইবেন না ওভারপ্রতি ৭-৮ করে লাগলে রশিদ খানের বিপক্ষে খেলতে। আমি মনে করি, পুরোপুরি পরিকল্পনা অনুযায়ী ছিলাম না।’

এই হারের ফলে বৃহস্পতিবার গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই হবে বাংলাদেশকে, না হলে শেষ হয়ে যাবে এশিয়া কাপ মিশন!

এসএইচ/এটি