২০১৯ সালে সাকিব আল হাসান এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাঁধে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব তুলে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে একেবারেই সুবিধা করতে পারছিল না টাইগাররা। বিশ্বকাপে ভরাডুবির সঙ্গে একের পর এক সিরিজ হারের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। সঙ্গে রিয়াদ নিজেই রান খরায় ভুগছিলেন।

এজন্য অনেকটা অনুমেয়ভাবে রিয়াদকে সরিয়ে আবার সাকিবকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে বসিয়েছে বিসিবি। সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে দুইজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই। দেশের ক্রিকেটের স্বার্থ বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন, বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। সাবেক এই অধিনায়ক এও জানান, এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। সাকিব বা রিয়াদ সম্পর্কে তার কিছু হন না।

আরও পড়ুন >> সাকিব-মুশফিকের সঙ্গে ওপেনিংয়ের ভাবনায় শেখ মেহেদীও

মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে সুজন বলেন, ‘রিয়াদের সাথেও কথা হয়েছে, সাকিবের সাথেও কথা হয়েছে। আমি যেহেতু এখন দলের সাথে জড়িত কথা তো হবেই। কথা না বলার কিছু নাই। বোর্ডের একটা অবস্থান ছিল যে সাকিব যেহেতু এই ফরম্যাটে বেশি অভিজ্ঞ, ওর অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, ওর পারফরম্যান্স সব মিলিয়ে আমাদের মনে হয়েছে সেই-ই সেরা পছন্দ। বিষয়টা এমন না যে রিয়াদ খারাপ, তবে হয়তো রিয়াদের চেয়ে সাকিবকে সেরা বিকল্প মনে হয়েছে।’ 

যোগ করেন সুজন, ‘দিন শেষে আমরা সবাই বিসিবিতে কাজ করি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভালো করার জন্য। এখানে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই, সাকিবও আমার কিছু না রিয়াদও আমার কিছু না। বলতে গেলে আমাদের সতীর্থ ক্রিকেটার, হয়তো আমরা সিনিয়র, ওরা জুনিয়র। ওরা এখনো খেলছে, আমরা ওদের সাথে কাজ করি, আমরা চাই বাংলাদেশ দলের সাফল্য। সাফল্যটা কীভাবে আসবে কার হাত ধরে আসবে আমরা জানি না। মনে হয়েছে সাকিব আমাদের সেরা বিকল্প। আমি বিশ্বাস করি সাকিব সেরা বিকল্প।’

আরও পড়ুন >> এশিয়া কাপে ১৭ সদস্যের দল, ফিরলেন সাব্বির

দিন শেষে কার কাঁধে অধিনায়কের দায়িত্ব, সে বিষয়ে ভাবনা চান না সুজন। দেশের হয়ে খেলতে পারাকেই ভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক।

সুজন বলেন, ‘অধিনায়ক কে তা মূল বিষয় না। অধিনায়ককে কাজ কেবল অনুসরণ করা। মাঠেতো অধিনায়কের একটা গুরু দায়িত্ব থাকে। সবাই দেশের ক্রিকেটের চিন্তা করে, এটাই তো বড় গর্বের। লাল-সবুজের জন্য খেলার চাইতে বড় গর্বের আর কিছু আছে? আমি মনে করি এটা রিয়াদ, মুশফিক, আফিফ, সাকিব, তামিম যেই-ই হোক না কেন।’

টিআইএস/এইচএমএ