এশিয়া কাপের জন্য ভারত, পাকিস্তান ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করলেও বাংলাদেশ ঝুঁকি না নিয়ে ১৭ সদস্যের দল দিয়েছে। এই স্কোয়াডে ব্যাটসম্যানের ছড়াছড়ি হলেও এনামুল হক বিজয় আর পারভেজ হোসেন ইমন ছাড়া স্বীকৃত কোনো ওপেনার নেই। বিকল্প ভবনায় আছেন শেখ মেহেদী হাসান। এর বাইরে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানকে ভাবনায় রেখেছে ম্যানেজমেন্ট।

আজ সোমবার মিরপুরের বিসিবি ভবনে শোকাবহ ১৫ আগস্টের মূল অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমকে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, প্রতিপক্ষের বোলিং শক্তি বিবেচনায় সাজানো হবে ওপেনিং পজিশন।

আরও পড়ুন >> এশিয়া কাপে ১৭ সদস্যের দল, ফিরলেন সাব্বির

সুজন বলছিলেন, ‘স্বীকৃত ওপেনার বিজয় ও পারভেজ ইমন। বাকি অনেকেই কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেটে ওপেন করেছে। আফগানিস্তানের যে বোলিং অ্যাটাক সেই বোলিং অ্যাটাকে আমরা কাকে ওপেন করাবো সেটা নিয়ে ভাবছি। মুশফিক হতে পারে। ইউ নেভার নো, সাকিবও হতে পারে। মিরাজ হতে পারে, শেখ মেহেদীও ওপেন করেছে। অনেকগুলো অপশন আছে। কম্বিনেশনের জন্য আমরা চিন্তা করছি।’

যোগ করেন সুজন, ‘এই ফরম্যাটে আমি ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে চিন্তিত না। নাজমুল হোসেন শান্ত জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিল। ওকে আমরা মিডল অর্ডারে চিন্তা করেছিলাম। স্থানীয় ক্রিকেটে তিন-চারে খেলে। বিপিএলে কিছু ক্ষেত্রে ওপেন করেছে। হিটার বা মারতে পারে এমন খেলোয়াড় আমরা বিভিন্ন পজিশনে রোটেট করতে চাই। যেহেতু সাকসেস হয়নি। ওখানে লিটন আউট হয়েছে, বিজয় টিকে আছে।’

আরও পড়ুন >> চোট নিয়েও কেন এশিয়া কাপের দলে সোহান?

তবে এগুলো নিয়ে যে আগেই ভাবা উচিৎ ছিল, সেটি স্বীকার করেছেন সুজন। সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ এমন একটা জায়গা আমাদের হয়তো আরও আগেই পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা আমরা করতে পারিনি সেটা আমাদের ব্যর্থতা। ব্যর্থতাও বলবো না, ছেলেরা যারা লোকাল ক্রিকেটে ভালো করেছিল তাদেরকে আমরা সুযোগ দিয়েছিলাম। তার কিন্তু নিজেদের মেলে ধরতে পারবেনি। স্থানীয় ক্রিকেটের সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য অনেক।’

টিআইএস/এইচএমএ/এটি