অপ্রাপ্তির ম্যাচেও তৃপ্তি মিঠুনের
দুটি চার দিনের ম্যাচ আর তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে বর্তমানে উইন্ডিজ সফর করছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। যেখানে প্রথম চারদিনের ম্যাচটি ড্র হওয়ার পর এবার দ্বিতীয় ম্যাচটিও একই পরিণতি শেষ করেছে সফরকারীরা। উইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুই সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে গেলেও লাল বলের ফরম্যাটটি কোনো ফল ছাড়াই নিষ্পত্তি হয়েছে।
ফলাফল না মিললেও তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্ট শেষের পর এক ভিডিও বার্তায় ক্রিকেটারদের প্রশংসা বন্যায় ভাসালেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মিঠুন বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় সবমিলিয়ে আজকের দিনে যেহেতু বোলিং ও ফিল্ডিং করেছি। ফিল্ডিং খুব ভালো হয়েছে, আমি খুশি। সঙ্গে সঙ্গে বিশেষত স্পিনাররা, আমাদের দেশে তো স্পিনাররা সবসময় ভালো করে। আজকেও তারা দারুণ বল করেছে। উইকেটে তাদের জন্য খুব একটা সাহায্য ছিল না। তারপরও তারা ধৈর্য ধরে এক জায়গায় বল করেছে, এটা তাদের ইকোনোমি দেখলে বোঝা যায়। হয়তো স্কোরবোর্ড সেটা দেখাচ্ছে না ওরা কত ভালো বল করেছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি।’
যোগ করেন মিঠুন, ‘টেস্ট ম্যাচে যে ধৈর্য দরকার, আমি ওটা দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় খুব ইম্প্রেসিভ। ওর বোলিং খুব ভালো লেগেছে। যতক্ষণ বল করেছে, এফোর্ড দিয়েছে। খালেদ চেষ্টা করেছে, ও হয়তো আরেকটু ভালো করতে পারতো। কিন্তু সব মিলিয়ে ফিল্ডিং ও বোলিংয়ে আমি খুশি।’
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দল প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় মাত্র ১৬৭ রানে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝে ফিফটি করেন মিঠুন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল ৫ উইকেটে ২৬৩ করার পর শেষ হয় ম্যাচ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে সাইগ হাসানের ৩৪৮ বলে ১৪৬ রানের ইনিংসের কল্যাণে ৯ উইকেটে ৩০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। ক্যারিবিয়ানরা এবার ত্যাজনারাইন চন্দরপলের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২৭৭ রান তোলার পর ড্র হয় ম্যাচ।
লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার অতৃপ্তি নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে একদম নতুন এক কন্ডিশন। সবকিছুই আমাদের বিপক্ষে ছিল। আমরা বাংলাদেশ থেকে যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছি, অবশ্যই জেতার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু পরিবেশটা ওরকম ছিল না। তারপরও সব মিলিয়ে বলব আমরা যে লক্ষ্য নিয়েছি, পুরোপুরি পূরণ না হলে আমি খুশি।’
টিআইএস/এটি