ডমিঙ্গো আক্রমণাত্মক নন, হাথুরুসিংহের মানসিকতা চায় বাংলাদেশ
কড়া হেডমাস্টার যাকে বলে, চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তেমনি কোচ ছিলেন। এজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটে বেশ আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পান এই শ্রীলঙ্কান। তার কোচিং আমলে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের জায়গা বুঝে নিতে শুরু করে বাংলাদেশ দল। মাঠে বা ড্রেসিংরুমে, ক্রিকেটাররা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার সুযোগ পেতেন না। সবকিছুর জবাবদিহি করতে হতো তার কাছে।
অথচ বর্তমান চিত্র একবারে ভিন্ন। রাসেল ডমিঙ্গোর কোচিং আমলে সাফল্য কিছুটা এলেও ব্যর্থতার পাল্লাটাও কম ভারি নয়। সঙ্গে মাঠ ও মাঠের বাইরের অক্রিকেটীয় কথাবার্তার উত্তাপ তো আছেই। হাথুরুসিংহের সঙ্গে ডমিঙ্গোর কোচিং আমলের এমন পার্থক্য কেন? জানতে চাইলে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
বিজ্ঞাপন
সোমবার মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের করা এক প্রশ্নের জবাবে জালাল বলছিলেন, ‘সাপোর্ট স্টাফ যারা আছে তারা খুবই ডেডিকেটেড। আপনি যেটা বললেন, হয়তো তাদের কোচিং করানোর ধরন আলাদা। কেউ একটু আক্রমণাত্মক হয়, কেউ আক্রমণাত্মক হয় না। হাতুরুর কোচিংটা ছিল একটু আক্রমণাত্মক, যেটা আমাদের দরকার।’
সঙ্গে যোগ করেন জালাল, ‘আমাদের যে সাপোর্ট স্টাফ, প্রধান কোচ, ব্যাটিং কোচ- তারা খুবই জ্ঞানী কোচ কিন্তু তেমন আক্রমণাত্মক না, যেটা আমরা চাই। আক্রমণাত্মক হলে আমাদের খেলোয়াড়দের যেন সেভাবে অনুপ্রেরণা দিতে পারে। তোমাকে মাঠের মাঝে আক্রমণাত্মক মানসিকতা থাকতে হবে। খেলাটাকে ওইভাবে নিতে হবে। সেই দিক থেকে মনে হয় সে (ডমিঙ্গো) তেমন আক্রমণাত্মক না। এখানেই হয়তো পার্থক্যটা।’
এদিকে জিম্বাবুয়ে সফর শেষে এশিয়া কাপের আগে ছুটিতে নিজ নিজ দেশে যাওয়ার কথা ছিল বিদেশি কোচিং স্টাফের সদস্যদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ হারায় কোচদের সেই ছুটি বাতিল হয়ে গেছে। দলের সঙ্গী হয়ে দেশে ফিরে আসতে বলা হয়েছে ডমিঙ্গো, ডোনাল্ডদের।
জালাল বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে ঢাকায় আসতে। আমরা একটা পরিকল্পিত পরিকল্পনা করতে পারি। কারণ খেলা আমাদের, শুধু এশিয়া কাপ নয়, আমাদের ধারাবাহিক ব্যাক টু ব্যাক খেলা আছে। আমরা চাইব তারা কী পরিকল্পনা দেয়।’
দেশে আসলে আগামী ২০ আগস্ট কোচিং স্টাফের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বোর্ডের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্তারা। সেটিও বললেন জালাল, ‘আপনারা জানেন আগামী বছর ইংল্যান্ড আসবে। আমরা চাই তারা (কোচরা) যাতে আমাদের একটা পরিকল্পনা দেয়। সেটার লক্ষ্যই তারা আসবে। তাদের ১৯ তারিখ ঢাকায় পোঁছানোর কথা। আমরা হয়তো তাদের সঙ্গে ২০ তারিখ বসব।’
টিআইএস/এটি