মিরাজের স্বপ্নে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ জয়
অন্য দুই ফরম্যাট তুলনায় ওয়ানডেতে বেশ শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ দল। নিজেদের ধারাবাহিক দাপুটে পারফরম্যান্সে ক্রিকেট বিশ্বে সুসংহত হয়েছে টাইগাররা। এবার উইন্ডিজ সফরে গিয়ে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়েনডে সিরিজ জিতেছে ৩-০ তে। দেশে ফিরে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন, সামনে এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ জয়ে চোখ তাদের।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উইন্ডিজ থেকে দেশে ফিরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মিরাজ।
বিজ্ঞাপন
মিরাজ বলছিলেন, ‘বিশ্বকাপে ভালো কিছু করলে আমাদের নিজেদের জন্য যেরকম ভালো হবে, দেশের জন্যও ভালো হবে। অবশ্যই বড় একটা অর্জন করার চেষ্টা করব। কিন্তু এটা তো আপনি বলতে পারেন না যে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ানই হব। আমরা চেষ্টা করতে পারি, হয়তো ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। যে কীভাবে বিশ্বকাপটা জেতা যায় সে ওয়েটা আমরা বের করতে পারি। এটা তো ভাগ্যের ওপর। আমরা তো স্বপ্ন দেখি এশিয়া কাপ জিতব, বিশ্বকাপ জিতব।’
ওয়ানডে সংস্করণে বিশ্বকাপের এবারের আসর বসবে ভারতে, ২০২৩ সালে। এখনো ১৫ মাসের মতো সময় বাকি। লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা যেহেতু এই ফরম্যাটে অপ্রতিরোধ্য এবং দলে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাসদের মতো প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় আছেন, সে হিসেবে বিশ্বকাপে ভালো করার আশা মিরাজের।
মিরাজের ব্যাখ্যা, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ তো বেশি দূরে নেই। হয়তো ১ বছর ২-৩ মাস আছে। কিন্তু আমরা যেভাবে যাচ্ছি, আমাদের যেভাবে ওয়েটা আছে, আমি মনে করি, এই প্রক্রিয়ায় এগোলে আমাদের সামনে বিশ্বকাপটা আরও বেশি ভালো হবে। কারণ, অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও থাকবে। তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মুশি ভাই, রিয়াদ ভাই আছেন। তারা তো অনেক অভিজ্ঞ।’
সঙ্গে যোগ করেন মিরাজ, ‘আমি, মুস্তাফিজ, লিটনও খেলেছে। সব মিলিয়ে আমরা যারা আছি, তাদেরও পাঁচ বছর ক্যারিয়ার হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক। তো মোটামুটি ভালো একটা একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলতে পারব।’
১৯৯৭ ট্রফি এক পাশে রাখলে আইসিসির টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের বলার মতো সাফল্য নেই। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে টাইগাররা। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন ট্রফির স্বপ্ন শেষ হয় সেমিফাইনালে। ২০১২, ২০১৬ আর ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি।
টিআইএস