সাকিব না থাকলেই কেন এতো হাহাকার?
বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান একাদশে না থাকা মানে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে হবে, না হলে বাড়তি একজন বোলার। সেক্ষেত্রে একাদশ তৈরিতে হিমশিম খেতে হয় বাংলাদেশ দলকে। এক সাকিবের অভাব পূরণ হয় না দুইজন ক্রিকেটার দিয়েও! উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি আবার ভাবনায় ফেলেছে দলকে।
ইদানিংকালে সাকিবের ছুটি নেওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। চলতি ক্যারিবীয় সফরে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেললেও ওয়ানডে সিরিজে নেই তিনি। তাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে অধিনায়ক তামিম ইকবাল আর দলকে। সাকিবের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে অধিনায়কের সাফ জবাব, বাংলাদেশে ভালো মানের অলরাউন্ডার নেই বলেই সাকিবের না থাকা নিয়ে এমন প্রশ্ন ওঠে।
বিজ্ঞাপন
গায়ানায় সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলছিলেন, ‘নরমালি বাংলাদেশে খুব বেশী প্রোপার অলরাউন্ডার নেই। সেকারণেই হয়তো বারবার আমাকে একই প্রশ্নের (সাকিব প্রসঙ্গ) উত্তর দিতে হয়। আপনাদেরও একই প্রশ্ন করতে হয়। আমাদের যদিও ২-৩ টা অলরাউন্ডার থাকতো যারা ৫০-৫০ বা ৬০-৪০ তাহলে এই প্রশ্নগুলো উঠতো না।’
এবারের উইন্ডিজ সফরটা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও খুইয়েছে সফরকারীরা। এবার লড়াই ওয়ানডে সিরিজের। ফরম্যাটটা পঞ্চাশ ওভারের জন্যই সমর্থকরা আত্মবিশ্বাসী। তবে ১০ জুন সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে তামিম জানিয়েছেন, টানা হারতে থাকলে সবকিছুই কঠিন হয়ে যায়।
তামিম বলছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি টি-টোয়েন্টি বলেন ওয়ানডে বলেন। আমি আশা করছি ওয়ানডেতে ইতিবাচক কিছু হবে, এটা এমন এক ফরম্যাট যেখানে আমরা কমফর্টেবল। একই সাথে বলতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজও খুব ভালো খেলছে। আমাদেরকে সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে।’
সঙ্গে যোগ করেন তামিম, ‘একটা সিরিজে যখন আপনি ম্যাচ জিততে পারছেন না তখন এটা সবসময় কঠিন। সাথে সাথে এটাও মনে রাখতে হবে এটা এমন একটা ফরম্যাট যেটা নিয়ে আমরা গর্ব করি। ওয়ানডেতে আমরা খুব ভালো দল কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু যতই ভালো খেলি না কেন নির্দিষ্ট দিনে সব দিক থেকেই ভালো খেলতে হবে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।'
টিআইএস/এটি