বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সিতে এবার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি/ছবি: ঢাকা পোস্ট

করোনার কারণে দীর্ঘদিন টিম স্পন্সর ছিল না বাংলাদেশ দলের। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে বেক্সিমকোকে স্পন্সর হিসেবে পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সিরিজ শেষ হওয়ায় আবার শূন্য হয়েছে স্পন্সরের কোটা। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে নতুন স্পন্সরের খোঁজ শুরু করে বিসিবি। এই সিরিজের জন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।

ইউনিলিভারের পণ্য লাইফবয়ের সঙ্গে চুক্তি শেষের পর অফিশিয়াল কোনো টিম স্পন্সর নেই বাংলাদেশ দলের। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে কোনো স্পন্সর ছাড়াই মাঠে নেমেছিলেন মুমিনুল হকরা। এরপর গত মার্চে জিম্বাবুয়ে সিরিজে টিম স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিল আকাশ ডিটিএইচ। ওই এক সিরিজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল তারা।

এরপর করোনার কারণে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিল টাইগাররা। এজন্য নতুন করে কোনো স্পন্সরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়নি বিসিবি। করোনা সংক্রমণের পর খেলা ফিরলে উইন্ডিজ সিরিজে স্পন্সর হিসেবে পায় বেক্সিমকোকে। সেটিও এক সিরিজের জন্য। এবার মিশন নিউজিল্যান্ড। কিউইদের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশ দলের জার্সিতে উঠছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির নাম। বিসিবির সঙ্গে এক সিরিজের এই চুক্তির অঙ্কটা দুই কোটি টাকা।

বিষয়টি আজ সোমবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছে বিসিবি। তবে এবারও দীর্ঘমেয়াদী পথে হাঁটেনি টাইগার বোর্ড। ইভ্যালির সঙ্গে বিসিবির চুক্তি হয়েছে শুধু নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এই মহামারির ইফেক্ট তো সব জায়গায় আছে। সব সেক্টরেই এর ইফেক্ট আছে, খুবই স্বাভাবিক। আমরা এই সিরিজের জন্য ২ কোটি টাকা পাচ্ছি, এটা তো অনেক কিছু।’ 

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা দীর্ঘমেয়াদীতে যাবো। আমাদের একটু কাজ চলছিল এফটিপির সুচিগুলোও চূড়ান্ত করার বিষয়ে। ওটা আমাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এখন আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় যাব। করোনার কারণে আমাদের কাছে বিকল্প খুব সীমিত ছিল, এ কারণে আমাদের সিরিজ ধরে এগুতে হয়েছে।’

মিরপুরের শেরেবাংলায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন ও চিফ মার্কেটিং অফিসার আরিফ আর হোসেন।

টিআইএস/এটি/এনইউ