এবারের উইন্ডিজ সফরে হারতে হার‍তে যেন ক্লান্ত বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ খুইয়েছে টাইগাররা। এখন পর্যন্ত সফরের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ব্যাটিং ব্যর্থতা। তবে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের শেষ ম্যাচের পর কাঠগড়ায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বও। তার ‘মুখস্থ’ অধিনায়কত্ব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে জোর আলোচনা।

গায়ানার মন্থর উইকেটে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ দল। ১০ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতে নেয় উইন্ডিজ। অথচ এর আগে এই মাঠে ১৫০ রানের বেশি টার্গেট তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল না। সমর্থকরা মনে করছেন, ভুলভাল বোলিং অ্যাটাকের জন্য হারতে হয়েছে ম্যাচ।

যেমন ইনিংসের সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পান সাকিব আল হাসান। সে ওভারে মাত্র ৪ রান দেন তিনি। অথচ ম্যাচ হাত থেকে বের হয়ে গেলেও তাকে ১৬ ওভার অবধি আর বোলিংয়ে আনেননি মাহমুদউল্লাহ। কারণ ক্রিজে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্স আর নিকোলাস পুরান। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সামনে যেন বাঁহাতি বোলার আনা রীতিমত অন্যায়! অথচ অফ স্পিনার মোসাদ্দেক তখন সমানে রান বিলিয়েছেন। ৪ ওভারে দেন ৩৪ রান।

ম্যাচ হারের পর দলের ওপেনার লিটস দাস জানান, পুরোটাই অধিনায়কের ব্যাপার। তবে সাকিবকে বল না দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত, সেটি পক্ষে এলে মাহমুদউল্লাহর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতো না। 

আরও পড়ুন >>বিশ্বসেরা সাকিবের বিশ্বরেকর্ড

লিটন বলছিলেন, ‘দুই দিক দিয়েই করানো যায়। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সময় ডানহাতি বোলার বল করে, সমস্যা নাই। কিন্তু সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ অধিনায়কের। যদি সিদ্ধান্তটা ভালোর দিকে যেত, তাহলে হয়তোবা এই প্রশ্নটা আসতো না। মাঠ তো আমি চালাব না বা আর দশটা ক্রিকেটার চালাবে না। আশা করা উচিত অধিনায়কের যে সিদ্ধান্ত সেটা ফলো করা।’

উইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ০-২ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আবার হারের বিস্বাদ পায় টাইগাররা। তিন ম্যাচের কুড়ি ওভারের সিরিজে শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার বোলারদের ব্যর্থতায় ৫ উইকেটে হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এতে টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও খোয়াল সফরকারীর। এমন হারের জন্য দলের টপ অর্ডারকে কাঠগড়ায় তুললেন লিটন।

আরও পড়ুন >> বোলারদের ব্যর্থতায় সিরিজ হার বাংলাদেশের

লিটন বলেন, ‘সত্যি বলতে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। প্রথম ম্যাচে করিনি, দ্বিতীয় ম্যাচেও আমার মনে হয় না আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি, শুধু সাকিব ভাই ছাড়া। আমার মনে হয় যে কন্ডিশনে আমরা খেলেছি, সেটা ব্যাটিং সহায়ক ছিল উইকেট।’ 

সঙ্গে যোগ করেন লিটন, ‘ওপর থেকে আমি বা বিজয় ভাই বা মুনিম যেদিন খেলেছে, আমরা যদি নিজেদের রোলটা পালন করতে পারতাম, তাহলে পিছনের ব্যাটসম্যানরা মন খুলে খেলতে পারত। আমার মনে হয় আমাদের তিনটা ইনিংসে ব্যর্থতার কারণে সুবিধা করতে পারিনি। এই জিনিসটা আমার কাছে মনে হয়েছে যে ব্যাটিংয়ে ভুগিয়েছে।’

টিআইএস/এনইউ