নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেটারদের দেওয়া হচ্ছে পাঁচ বছরের চুক্তি। সেই চুক্তির অধীনে নারী ক্রিকেটাররা পুরুষদের সমান ম্যাচ ফিই আয় করবেন। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড এনজেডসি, দেশের ছয়টি বড় অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের চুক্তির ফলে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া পর্যায়ে আয় বাড়তে যাচ্ছে দেশটির নারী ক্রিকেটারদের।

এবারই প্রথম নারী আর পুরুষ পেশাদার খেলোয়াড়দের চুক্তি হলো একই ছাতার নিচে। নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচের ফি হচ্ছে ৪ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার, আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফি হচ্ছে ২৫০০ নিউজিল্যান্ড ডলার। আর ঘরোয়া পর্যায়ে ফর্ড ট্রফি কিংবা হ্যালি বার্টন জনস্টন শিল্ডের ম্যাচ খেলে খেলোয়াড়রা পাবেন ৮০০ নিউজিল্যান্ড ডলার, সুপার স্ম্যাশে আয়টা দাঁড়াবে ৫৭৫ ডলারে, টেস্ট ম্যাচের ফি হচ্ছে ১০২৫০ ডোলার আর প্লাঙ্কেট শিল্ডের ম্যাচে ১৭৫০ ডলার।

যে চুক্তি দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের, তাতে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ মানের নারী ক্রিকেটারটি বছরে আয় করতে পারবেন প্রায় ১লাখ ৬৪ হাজার ডলার করে। নবম মানের ক্রিকেটার প্রায় দেড় লাখ, আর ১৭তম অবস্থানের খেলোয়াড় প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ডলার আয় করতে পারবেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষ মানের একজন ক্রিকেটার আয় করতে পারবেন প্রায় ২০ হাজার ডলার ও সর্বনিম্ন মানের জনও আয় করতে পারবেন ১৮,১৪৬ ডলার করে।

এই চুক্তির ফলে ঘরোয়া চুক্তির অধীনে থাকা নারী ক্রিকেটারদের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে, ৫৪ থেকে এখন ৭২ জন ক্রিকেটার থাকবেন এই চুক্তির অধীনে। উত্তর বনাম দক্ষিণ সিরিজের কথাও জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।  

পুরুষদের ক্রিকেটে শীর্ষ মানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার পেতে পারেন সর্বোচ্চ ৫ লাখ ২৪ হাজার ডলারের কাছাকাছি অর্থ। শীর্ষ মানের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলোয়াড়দের আয় দাঁড়াতে পারে ৭৫,২০৭ ডলার থেকে ১০২৭০৭ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। মূলত নারীদের চেয়ে পুরুষের খেলার সংখ্যার আধিক্যের কারণেই নারীদের চেয়ে পুরুষের আয় বেশি, ম্যাচ ফি সমান হওয়ার পরও। 

এনইউ