বেশ কয়েকদিন ধরে হাঁটুর ব্যথায় কাতর মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমন অবস্থায় বিশ্বের অন্যতম ধনী এই ক্রিকেটার রোগমুক্ত হতে বড় কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন, সেটাই হত স্বাভাবিক। তবে ধোনি তেমনটা করলেন না। ছুটলেন নিজের শহর রাঁচিতে, ব্যথা থেকে সেরে উঠতে দ্বারস্থ হলেন সেখানকার এক আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের।

আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বৈদ্য বন্ধন সিংহের রাঁচিতে বেশ নামডাক রয়েছে। বড়সড় কোনো চিকিৎসালয় নয়, বরং একটি গাছের নিচেই রোগীদের শুশ্রূষা সারেন তিনি। তার কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে রীতিমত লাইন লেগে যায় রোগীদের। প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঔষধি ব্যবহার করেই রোগীদের সারিয়ে তোলেন তিনি।

সম্প্রতি দুই হাঁটুর ব্যথা নিয়ে এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের কাছেই গিয়েছিলেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের কারিগর ধোনি। ভারতীয় দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, ধোনিকে বেশ কিছু জরিবুটি দেওয়া দুধ পান করতে বলেছেন বৈদ্য, নির্দিষ্ট বিরতিতে দুই ডোজ ঔষধ গ্রহণ করার পর এর সুফল পেতে পারেন ধোনি।

তবে অবাক করা বিষয়টি হচ্ছে, যে শহরের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছেন ভারতের জীবন্ত কিংবদন্তি ক্রিকেটার ধোনি, সেই শহরে বসবাস করেও তাকে নাকি একেবারেই চিনতেন না সেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। দুয়েকবার ধোনির নাম শুনলেও কখনো ধোনিকে দেখেননি তিনি। যার চেহারা ভারতের টিভি চ্যানেল থেকে পত্র-পত্রিকায় নিত্য দেখা যায়, তাকে কখনোই দেখেননি বৈদ্য বন্ধ সিংহ, অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি!

বৈদ্য বন্ধন সিংহ ধোনিকে চিনতে না পারলেও সেখানকার অন্যরা ঠিকই চিনেছেন তাকে। তাই তো সেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের গাছতলায় যাওয়ার পরই ধোনিকে ঘিরে ধরে অগণিত অনুরাগী। তারা যখন ধোনির অটোগ্রাফ নিতে এবং তার সঙ্গে সেলফি তুলতে তাকে ঘরে ধরেন, তখনই বৈদ্য বন্ধন সিংহ বুঝতে পারেন, আসলে কার চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি!

ধোনির আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার মূলে আছেন তার বাবা-মা। জানা গেছে, কয়েক মাস আগেই বন্ধন সিংয়ের কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন তারা। ধোনির হাঁটুতে ব্যথা শুরুর পর তাদের পরামর্শেই এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের কাছে ছুটেছেন তিনি। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের মাত্র ৪০ টাকার ওষুধেই নাকি সেরে উঠবে ব্যথা। ধোনির ব্যথা সেরেছে কি না সেটা অবশ্য এখনো জানা যায়নি।

এইচএমএ/এটি