আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিটা জিততে হার্দিক পান্ডিয়ার ভারতকে তেমন বেগই পেতে হয়নি। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে একটু এদিক ওদিক হলেই হারের কবলে পড়ত দলটি, শুরুতে ব্যাট করে ২২৫ রানের পাহাড় গড়েও। তবে সেটা হয়নি শেষ ওভারে উমরান মালিকের বোলিংয়ের সুবাদে। তাতেই ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস এক জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে আয়ারল্যান্ডকে। 

ভারতকে যে এভাবে চমকে দেবে আয়ারল্যান্ড, সেটা প্রথম ইনিংসে আঁচ পাওয়া যায়নি মোটেও, ১৩ রানে ঈশান কিষাণকে হারানোর পরও। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যে ৮৫ বলে ১৭৬ রানের বিশাল জুটিই গড়ে বসেছিলেন সাঞ্জু স্যামসন আর দীপক হুদা মিলে! দলীয় ১৮৯ রানে সাঞ্জু ৪২ বলে ৭৭ রানে ফেরেন।

তবে ওপাশে দীপক অবিচল ছিলেন, চতুর্থ ভারতীয় হিসেবে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। ৫৭ বলে করেন ১০৪। তার ইনিংসের সুবাদেই পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে গেছে। অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে যে পরের সবাই উইকেট হারিয়েছেন নিয়মিত বিরতিতে! সূর্যকুমার যাদব (১৫) দীনেশ কার্তিক (০), অক্ষর পটেল (০), হারশাল পাটেলরা (০) হতাশা উপহার দিয়েছেন ভারতকে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক হার্দিক (১৩) এবং ভূবনেশ্বর কুমার (১)। শেষ চার ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত পৌঁছে ২২৫ রানে। 

জবাবে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করে আয়ারল্যান্ডও। ওপেনার পল স্টার্লিং ৫টি চার, ৩টি ছয়ের সাহায্যে ১৮ বলে ৪০ রান তোলেন, তাতেই অসম্ভবকে সম্ভব করার নেশা চেপে বসে স্বাগতিক শিবিরে। অধিনায়ক অ্যান্ড্রিউ বালবার্নি করেন ৩৭ বলে ৬০ রান। তিনে নামা গ্যারেথ ডেলানি (০) এবং পাঁচ নম্বরে নামা লরক্যান টাকার (৫) রান পাননি। তবে রানের চাকাটা তখনও সচল ছিল আইরিশদের। 

এরপর স্বাগতিকদের আশা শেষ হয়নি তখনো, প্রথম ম্যাচে ৩৩ বলে ৬৪ রানের তাণ্ডব বইয়ে দেওয়া হ্যারি টেক্টর যে ছিলেন! তবে মঙ্গলবার রাতে তাকে পার্শ্বচরিত্র বানিয়ে দেন জর্জ ডকরেল। ১৬ বলে তিনি করেন ৩৪। ওদিকে ২৮ বলে ৩৯ রান করেন টেক্টর। দুজনের ইনিংসের সুবাদে আশাটা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে আয়ারল্যান্ডের। 

দলীয় ১৮৯ রানে ফেরেন টেক্টর। তবে স্বাগতিকদের সুতোটায় ঢিল পড়তে দেননি এরপর মাঠে নামা মার্ক অ্যাডায়ার। শেষ ওভারে তাতে দলের দরকার পরে ১৭ রান। ৩ ওভারে ২৯ রান দেওয়া উমরান মালিকের ওপর ভরসা রাখেন অধিনায়ক পান্ডিয়া। 

প্রথম বলে কোনো রান দেননি তিনি। পরের বলটা নো বল করে দলকে বিপাকে ফেলেন তিনি। ফ্রি হিটে চার মারেন অ্যাডায়ার, মারেন এর পরের বলেও৷ সমীকরণটা দাঁড়ায় তিন বলে ৮ রানের। তবে এরপরই সামলে নেন কাশ্মিরের তরুণ উমরান, পরের তিন বলে দেন মাত্র তিন রান, তাতেই চার রানের জয়োল্লাস মেতে ওঠে ভারত। নিশ্চিত করে হোয়াইটওয়াশ। 

এনইউ