অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৩ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে করে ২৪৫ রান। দুই ইনিংসেই উজ্বল সাকিব। ফিফটি আসে তার ব্যাট থেকে। তবে দুই ইনিংসেই আগ্রাসী ছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারির সীমানায় ক্যাচ আউট। দ্বিতীয় ইনিংসে অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে বাউন্ডারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তালুবন্দি হন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের হাতে।

প্রথম ইনিংসের পরই অবশ্য ব্যাটসম্যান সাকিবকে নিয়ে মন্তব্য করেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। দল গুটিয়ে যায় ১০৩ রানে, যেখানে ৫১ রানই সাকিবের, সেখানে সাকিবের শটস সিলেকশন ও ইনিংস আরো বড় করার বিষয়ে তাকে সতর্ক হতে বলেন ডমিঙ্গো।

সে সময় ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমি মনে করি, সাকিব সবসময় রান করার মানসিকতা নিয়েই খেলবে। সে স্লগ করুক, সেটা আমরা চাই না। আমরা চাই সে ভালো ক্রিকেট শট খেলুক। আমার মনে হয়েছে সে বোলারদের ওপর চাপটা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাকে মনে রাখতে হবে যে শুরুর পরিস্থিতিটা পেরিয়ে যেতে পারলে তাকে ভালোভাবে ব্যাট করতে হবে, নিজের সংযত রাখতে হবে। কারণ, সে সেঞ্চুরি করার মতো ভালো খেলোয়াড়। কিছু সময় প্রতি আক্রমণের কৌশল নিতে হবে আপনাকে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

তবে ম্যাচ শেষে করা মন্তব্যে সাকিবের কথায় পরিষ্কার, কারো চাওয়াতে নিজেকে পরিবর্তন করবেন না তিনি। নিজের গেমপ্ল্যান আর ইতিবাচক মানসিকতাকে সামনে রাখলেন সাকিব।

সাকিব বলেন, ‘নিজের ব্যাটিং নিয়ে আমি ইতিবাচক ছিলাম। সহজভাবে ভাবছিলাম- মারার বল পেলে মারব নাহয় ঠেকাব। সবসময় গেমপ্ল্যান এমন সাধারণ রাখি। এভাবেই সফল হয়েছি। আমি এটা পরিবর্তনও করব না!’

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলে সেখান থেকে টেনে তুলতে ৬৭ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। যেখানে ৬টি চার ও ১টি ছয় মারেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও সাকিবকে দলের বিপদের সময় ব্যাটিংয়ে নামতে হয়। যেখানে ৯৯ বলে ৬৩ রান করেন তিনি।

টিআইএস