এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ পাকিস্তানের
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ২৭৫-৮ (বাবর ৭৭, ইমাম ৭২; আকিল ৩-৫২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৫ (ব্রুকস ৪২; নওয়াজ ৪-১৯, ওয়াসিম ৩-৩৪)
ফলাফল-পাকিস্তান ১২০ রানে জয়ী
সিরিজ-পাকিস্তান ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে
ম্যাচসেরা-মোহাম্মদ নওয়াজ
বাবর আজম তার আগুনে ফর্মেই আছেন, সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছিলেন টানা চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরিরও। তার সঙ্গে ইমাম উল হকও আছেন ছন্দে। দু’জন মিলে পাকিস্তানকে আশা দেখাচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের। তবে মাঝে বিদায় নিলেন দু’জনে, এরপর পাক ইনিংসে নামল ছোট্ট একটা ধস। শেষের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় মাঝারি মাপের সংগ্রহ এলো বটে, কিন্তু গড়পড়তা রানের চেয়ে তা ছিল একটু কমই।
তবে সে লক্ষ্যও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য বিশাল বানিয়ে দিলেন পাক বোলাররা। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে মোহাম্মদ নওয়াজ আর মোহাম্মদ ওয়াসিমের দারুণ বোলিং কাজটা সহজ করে দেয় পাকিস্তানের। তাতেই উইন্ডিজকে ১২০ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জেতে পাকিস্তান।
বিজ্ঞাপন
ফখর জামান ফিরে যাচ্ছেন দ্রুত, এরপর বাবর আর ইমাম মিলে জুটি গড়ছেন বড়… এ তো শেষ কিছু দিনে পাকিস্তানের জন্য নিয়মিত দৃশ্যই। মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই দৃশ্যের দেখা মিলল গতকালও। ২৫ রানে ফখরকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে দু’জন মিলে গড়লেন ১২০ রানের জুটি। ইমাম আর বাবর পেলেন টানা ষষ্ঠ ওয়ানডে ইনিংসে ফিফটি।
দু’জনের বোঝাপড়াটা দারুণ হলেও এদিন জুটি ভাঙল এক ভুল বোঝাবুঝিতে, রান আউট হয়ে ৭২ রান করা ইমাম ফিরলেন। এর কিছু পর বাবরও ফিরলেন কুমার সাঙ্গাকারার রেকর্ড টানা ৪ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২৩ রানের দূরত্বে থেকে।
এরপরই পাকিস্তান ইনিংসে নামল ছোট্ট একটা ধস। ১৮৭-২ থেকে কয়েক ওভারের ব্যবধানে ২০৭-৬ হয়ে যায় দলের স্কোরকার্ড। এরপর অবশ্য লোয়ার মিডল অর্ডারের দৃঢ়তা আর শেষদিকে মোহাম্মদ ওয়াসিমের ১৩ বলে ১৭ আর শাহিন শাহ আফ্রিদির ৬ বলে ১৫ রানের দুটো ক্যামিওতে পাকিস্তান পায় ২৭৫ রানের পুঁজি।
আগের ম্যাচে ৩০৬ রান তাড়া করে জেতা পাকিস্তানের জন্য পুঁজিটা কম ছিল, মুলতানের মাঠের ইতিহাসও তেমনই বলছিল। উইন্ডিজ ইনিংসের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, সেটাও কথা বলছিল সেই সুরেই। শুরুতে শেই হোপকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কাইল মেয়ার্স আর শামরাহ ব্রুকসের ৯ ওভারে ৬৭ রানের জুটি পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেওয়ার হুমকিই দিচ্ছিল রীতিমতো।
তবে উইন্ডিজের সেই হুমকিকে একটু পরেই উড়িয়ে দিলেন পাক বোলাররা। ওয়াসিমের শিকার হয়ে ফিরলেন মেয়ার্স। পরের ওভারে শাহিন বিদায় করলেন ব্রেন্ডন কিংকে। দলীয় ১০২ রানে বিদায় নিলেন তিনে নামা ব্রুকসও। সঙ্গে সঙ্গে যেন উইন্ডিজের নিভু নিভু আশাটাও নিভে গেল একেবারে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে উইন্ডিজ অলআউট হয় ১৫৫ রানে।
তাতেই ১২০ রানের জয় আর এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজটা নিজেদের পকেটে পুরে ফেলে পাকিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচে আগামীকাল আবারও মুখোমুখি হবে দুই দল।
এনইউ