‘সাকিব কতদিন অধিনায়ক থাকবে সেটা বলা মুশকিল’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি সাকিব আল হাসান। এই আলোচনার সিংহভাগ সাকিবের টেস্ট সিরিজ আসলে সেখানে উপস্থিত না থাকার জন্য। পাঁচদিনের ফরম্যাটের সিরিজ সামনে এলেই যেন ‘অক্রিকেটীয়’ ব্যস্ততা বেড়ে যায় টাইগার অলরাউন্ডারের। টেস্টে খুব বেশি পাওয়া যায় না তাকে। তবুও নতুন অধিনায়ক হিসেবে আবার এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারকেই বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পেলেন সাকিব। তবে প্রশ্ন উঠল আবার, নেতৃত্ব তো দেওয়া হলো সাকিবকে, সেটি কতদিনের জন্য এবং অধিনায়ক হলেও অনীহা কাটিয়ে সাকিব এই ফরম্যাটে নিয়মিত হবেন তো?
বিজ্ঞাপন
আজ বোর্ডের দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে অধিনায়কের মেয়াদ নিয়েও দোলাচলে খোদ বোর্ড সভাপতি। অনিশ্চিত সুরে বললেন, ‘সাকিব কতদিন অধিনায়ক থাকবে সেটা বলা মুশকিল।’ অর্থাৎ পাপনের কথায় পরিষ্কার, চাইলে যেকোনো মুহূর্তে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার।
এরপর দ্বিতীয় প্রশ্ন অর্থাৎ অধিনায়ক হলেও অনীহা কাটিয়ে সাকিব এই ফরম্যাটে নিয়মিত হবেন তো? এই বিষয়টি পরিস্কার করেন বিসিবি সভাপতি। যেখানে আসন্ন উইন্ডিজ সিরিজে থাকলেও এরপর জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিবকে না পাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
পাপন বলছিলেন, ‘আমার সঙ্গে যা কথা হয়েছে, অবশ্যই। আমার আগে অন্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শুধু আমি না অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে এবং ওর সঙ্গে কথা বলে যেটা জেনেছি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজ আছে। জিম্বাবুয়ে সিরিজটা শুধু ও সিওর না।’
সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘কিন্তু এরপরে যত ফরম্যাটের যত খেলা আছে ও সব খেলবে। এই হচ্ছে ওর সঙ্গে কথা। টেস্ট তো অবশ্যই খেলবে বলে ও বলেছে। ঠিক করার আগে এটা আমাদের একটা ক্রাইটেরিয়া ছিল যে ও খেলবে কিনা।’
এফটিপি অনুযায়ী আগামী জুলাই-আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফর করার কথা আছে বাংলাদেশ দলের। সেখানে ২টি টেস্ট আর সমান ৩টি করে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা।
টিআইএস/এইচএমএ