৩১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানের কিংসমিড স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। টাইগার শিবির এখন সেখানেই নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে। কিংসমিডে পা রেখে অন্যরকম এক রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর। এ মাঠে ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে প্রোটিয়া যুব দলের বিপক্ষে টানা দুটি ম্যাচ জেতার সুখস্মৃতি আছে তার। সেখানে ফিরে সেই রোমাঞ্চেই ডুব দিয়েছেন শান্ত।

এক ভিডিও বার্তায় শান্ত বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। প্রায় ৬-৭ বছর আগে এসেছিলাম। তখনও ভালো কিছু স্মৃতি ছিল। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে যতগুলো ম্যাচ খেলেছি, সবগুলো ম্যাচই আমরা জিতেছি। ওদের দলে বেশ কয়েকটা রাগবি খেলোয়াড় ছিল। তারা ব্যাটিংয়ে নামলে আমরা বুঝতাম না ক্রিকেট খেলতে নেমেছে না রাগবি খেলতে নেমেছে। এরকম মজার অনেক মুহূর্ত ছিল। দিনশেষে আমরা পরিবেশটা উপভোগ করেছি, ভালো ক্রিকেট খেলেছি। অনেক কিছু শিখতেও পেরেছি। অনেক ভালো সময় কেটেছে।’

সঙ্গে যোগ করেন শান্ত, ‘ওই সময় ব্যাটিং ভালো করেছিলাম। ২-৩টা বড় স্কোর ছিল। ওই আত্মবিশ্বাস আছে। এবার আবার সুযোগ আসলে ওই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামব, আশা করছি ভালো কিছুই হবে। ওই দলের অনেকের সাথে আবার ম্যাচ খেলার সুযোগ এসেছে। অনেক দিন পর দেখা হবে, এটা নিয়ে রোমাঞ্চিত। আশা করছি এবারের ম্যাচগুলোও ভালো যাবে, ভালো সময় কাটাব।’

বাংলাদেশ দল ২০২২ সালটা স্বপ্নের মতো কাটাচ্ছে। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় জিতেছে ওয়ানডে সিরিজ। আর এতে কঠিন কন্ডিশনে ম্যাচ জেতার বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এজন্য আত্মবিশ্বাসী শান্ত মনে করেন, বাংলাদেশ দলের বিশ্বাস, মানসিকতা ও পরিবেশই বদলে দিয়েছে। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ এখন আর আন্ডারডগ নয়, এই বিশ্বাসও তৈরি হয়েছে দলের।

শান্ত বলছিলেন, ‘পুরো দলের মানসিকতা ও পরিবেশ বদলে গেছে। আগে যখন এশিয়ার বাইরে খেলতাম, জিততে পারি এই বিশ্বাসটা আমাদের মধ্যে এতটা ছিল না। এখানেও আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি- আস্তে আস্তে এই বিশ্বাসটা তৈরি হচ্ছে। বলছি না খেললেই জিতে যাব। তবে আমরা প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে এখানেও জেতা সম্ভব এই বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। দলের পরিবেশ, নিজেদের ওপর নিজেদের বিশ্বাস এগুলোর অনেক উন্নতি হয়েছে।’

টিআইএস/এটি