সাইফ হাসান/ফাইল ছবি

আগের ম্যাচে বল হাতে পাঁচ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ আশরাফুল এবার জ্বলে উঠলেন ব্যাট হাতে। আজ শুক্রবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নেমে অর্ধশতক তুলে নেন। তবে তার মন্থর ফিফটি কাজে আসেনি তার দল ব্রাদার্স ইউনিয়নের। সাইফ হাসানের ফিফটিতে ম্লান আশরাফুলের ইনিংস। সাইফ শেখ জামালকে ৮ উইকেটের বড় জয় এনে দিলেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। সেঞ্চুরির পথে ছুঁটতে থাকা এই ডানহাতি আউট হন ৮১ রান করে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইউল্যাব মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে আশরাফুলের ৯৬ বলে ৫৫ রানের কল্যাণে অলআউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে ১৫৮ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স। ১৫৯ রানের জবাব দিতে নিমে সাইফের ব্যাটে ৮ উইকেট আর ১০২ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের শেখ জামাল।

শুরুতে টস ভাগ্য হাসে শেখ জামালের হয়ে। তবে নিজেরা আগে ব্যাট না করে প্রতিপক্ষকে আমন্ত্রণ জানান ইমরুল। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, সেটি প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেননি শেখ জামালের বোলাররা। ব্রাদার্স শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শেখ জামালের বিদেশি রিক্রুট পারভেজ রাসুল। ১০ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া এই ক্রিকেটার শুরুতেই ফেরান সাদিকুর রহমানকে (১)। রাসুলের বাকি দুই শিকার ইমতিয়াজ হোসেন (২৮) আর রাফসান আল মাহমুদ (২)।

নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকা ব্রাদার্সের ইনিংস ধরে রেখে খেলেন অধিনায়ক আশরাফুল। মন্থর ব্যাটিংয়ে দলের হাল ধরলেও অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা যোগ দেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ফলে ইনিংসের ২৯ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় ব্রাদার্সের ইনিংস। ৯৬ বলে ৭ চারে ৫৫ রান করে সাইফ হাসানের শিকার হন আশরাফুল। আর কোনো ব্যাটসম্যান ৩০ রানের কোটাও ছুঁতে পারেননি।

১৫৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই দলকে জয়ের ভিত পাইয়ে দেন সাইফ আর সৈকত আলি। ১১১ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৩৮ রানের সৈকতকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন রায়হান উদ্দিন। ৫৫ বলে ফিফটির স্বাদ পাওয়া সাইফ সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন, তবে পারেননি, আক্ষেপ সঙ্গী করে ফেরেন ৮১ রানে। ৮৫ বলের ১৪টি চার আর ১টি ছক্কা মারেন তিনি।

পরে ইমরুলের ২৩ বলে অপরাজিত ২৪ আর জহুরুল ইসলামের অপরাজিত ১১ রানের সুবাদে ৩৩ ওভারেই ৮ উইকেট হাতে রেখে বিশাল জয় পায় শেখ জামাল। এই জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে টানা ৪ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ইমরুল কায়েসের দল।

টিআইএস/এনইউ