৩ দিনের মধ্যে নতুন দুই কোচের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পেস বোলিং কোচ হিসেবে অ্যালন ডোনাল্ডকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। ফিল্ডিং কোচের চেয়ারে বসিয়েছে শন ম্যাকডারমটকে। এবার আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাওয়ার হিটিং কোচের খোঁজে ক্রিকেট বোর্ড।

রোববার রাজধানীর একটি হোটের সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগের ব্যাপারটি আমাদের মাথায় আছে।’

সম্প্রতি সাপোর্ট স্টাফের বেশকিছু সদস্যর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ায়নি বিসিবি। স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনকে দলের সঙ্গে রাখেনি ক্রিকেট বোর্ড।  চাকরি ছাড়ার তালিকায় আছে ফিজিও জুলিয়ান ক্যালফেতো, ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সের নাম।

তাদের জায়গা নিয়েছেন; জেমি সিডন্স, ডোনাল্ড, ম্যাকডারমটরা। ঘনঘন কোচ পরিবর্তনে বাংলাদেশ ক্রিকেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে না তো? জালাল ইউনুস অবশ্য সেভাবে ভাবছেন না।

জালালের ব্যাখ্যা, ‘অন্যান্য দেশে ২-১ বছর পরপর পরিবর্তন হয়। দল পারফর্ম না করলে অনেক কোচকে বরখাস্ত করে দেয়। একটা অ্যাশেজ হেরেছে বলে ইংল্যান্ড সিলভারউডকে বরখাস্ত করেছে। আধুনিক ক্রিকেটে কেউ ৩-৪ বছর কাজ করবে না। আপনি দীর্ঘমেয়াদী কোচ পাবেন না। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট শুরু হওয়ার পর ঐ ট্রেন্ড থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হয়েছে। এখন সবার সংক্ষিপ্ত সময়ের চুক্তি হচ্ছে।’

যোগ করেন জালাল, ‘যাদের আমরা পরিবর্তন করেছি তারা প্রত্যেকে দুই বছরের মতো কাজ করেছে। তারপর হয়ত ব্যক্তিগত কারণে থাকছে না। যাদের নিয়ে আসছি তারা এভেইলেবল। তারা যেন দলের সাথে ভালো কাজ করে সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’

টিআইএস