২০০৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন জেমি সিডন্স। ২০১১ সালে চাকরি হারান তিনি। তার চার বছর মেয়াদেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।

এরপর দীর্ঘ সময় পার হলেও সাকিব, তামিমদের বিকল্প তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে বিসিবির দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন সিডন্স। জানালেন, এখানে বেশকিছু প্রতিভাবান তরুণ আছেন, যারা হবেন নতুন সাকিব-তামিম। ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে এসে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব নেন সিডন্স। আজ (শনিবার) প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন এই অস্ট্রেলিয়ান। 

সিডন্স বলছিলেন, ‘আমাদের এখন কিছু প্রতিভাবান তরুণ রয়েছে। আমরা তাদের সময় দিবো, যথাযথ ক্রিকেটারকে বাছাই করে তাদের নিয়ে কাজ করবো। তাদের ওপর বাড়তি চাপ না দিয়ে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া উচিত। আমার কোনো সন্দেহ নেই তারা নতুন সাকিব-তামিম হবে।’

তবে তরুণদের সময় দিতে হবে বলে জানালেন তিনি। এজন্য সিডন্স উদাহরণ হিসেব টানলেন সাকিব আল হাসানকে। সিডন্সের কোচিং আমলেই সাকিব বিশ্ব সেরাদের একজন হন। সিডন্স জানালেন, অথচ সাকিব ভালো বোলার না হয়ে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেললে অবেক আগেই বাদ পড়ে যেতেন। পরে সুযোগ পেয়ে ব্যাটসম্যান সাকিবও চিনিয়েছেন নিজের জাত।

সিডন্সের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ সবাই তাদের শুরুতে অধারাবাহিক ছিল। আমরা তাদের ক্যারিয়ারের যেকোনো পর্যায়ে বাদ দিয়ে দিতে পারতাম। সাকিব যদি ভালো বোলার না হতো, তাহলে ব্যাটসম্যান হিসেবে সে সাফল্য পাওয়ার আগে বাদ পড়ে যেতে পারত। তবে সে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে কারণ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সামর্থ্য ছিল।’

টিআইএস/এটি/এনইউ