সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনা সামনে এনেছে ২০১৩ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে। মেহেদী হাসান মিরাজকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক হিসেবে সরিয়ে দেওয়ার পর অনেকেই মোহাম্মদ আশরাফুলের সেই ফিক্সিং কাণ্ডের সঙ্গে মিল দেখেছেন। আবার সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে বাজিকরদের দ্বৈরথ দেখা গেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই দুই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

বিসিবি এনিয়ে নড়েচড়ে বসলেও তাদের ভাবনা পরিষ্কার করেছে। যেখানে ফিক্সিং ইস্যুতে চিন্তা থাকলেও চাপ নিচ্ছে না ক্রিকেট বোর্ড। বিষয়গুলো দেখার জন্য একাধিক সংস্থা একসঙ্গে কাজ করে বলে জানালেন, প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

নিজামউদ্দিন বলছিলেন, ‘বোর্ড সবসময়ই জিরো টলারেন্স নীতিতে চলে বিশেষ করে এই সকল সেন্সিটিভ ম্যাটারে। কোন ব্যাপারেই কিন্তু সামান্যতম ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। বিপিএল বা প্রত্যেক ঘরোয়া আসরে আমাদের অ্যান্টি করাপশন ইউনিট ভিজিবিলি কাজ করে। আমাদের কাছে আসা যে সব তথ্যগুলো নিয়ে সন্দেহাতীত ভাবে কাজ করতে হয়, সেগুলো নিয়ে কিন্তু আমরা তদন্ত করি।’

সঙ্গে যোগ করেন নিজামউদ্দিন, ‘আমাদের সঙ্গে সরকারের ইন্টেলিজেন্স অ্যাজেন্সিও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করে। এছাড়া আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটও কাজ করে, বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করে। তো আমাদের রিসোর্স আছে, সেগুলো দিয়ে আমরা লিমিটেড রিসোর্সের মধ্যেই কাজ করি।’

বোর্ডের ভাবনা, দেশের ক্রিকেটকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনেক সময় ‘ফেইক’ কিছু জিনিস সামনে চলে আসে। আগে মেরিট যাচাই করে তারপর পদক্ষেপ নেবে বিসিবি।

নিজামউদ্দিনের ব্যাখ্যা, ‘অনেক সময় কিছু অ্যাপ্রোচ আসে বা আসতে পারে ফেইক আইডি থেকে সেক্ষেত্রে আমাদের দেখতে হয় যে এগুলোর মেরিট কতটুকু বা কতটুকু নজরে রাখার মতো। আমাদের দেখতে হবে যে বাইরে থেকে একটা তথ্য বা মেসেজ আসলেই যে আমাদের তদন্তে নামতে হবে সেটা ঠিক না আবার এগুলো হালকা ভাবে ছেড়ে দেয়ারও সুযোগ নেই। তো প্রত্যেকটা বিষয়েই আমাদের যে রিসোর্স আছে তা নিয়ে কাজ করবো।’

টিআইএস