সভাপতি ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব ডা. মোঃ আলী ইমরান

করোনাকালীন সময়ে ক্রীড়াবিদ-সংগঠকরা নানাবিধ শারীরিক-মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এই সংকটকালীন সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা ছিল বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব স্পোর্টস মেডিসিন (বিএএসএম) এর। অন্য সময়ের মতো এই সময়েও অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিল সংগঠনটি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাই সম্প্রতি এই এসোসিয়েশনের কমিটি পুনর্গঠন করেছে।

পুনর্গঠিত কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন দুই দশকেরও বেশি সময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মেডিক্যাল কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ আলী ইমরান। আগের কমিটিতে তিনি যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে ছিলেন। 

মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়ে ইমরান বলেন,‌ এই এসোসিয়েশনের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনে দারুণ কিছু করা সম্ভব। বিশেষত ক্রীড়াঙ্গনে স্পোর্টস ইনজুরির বিষয়টি নিয়ে আমাদের গুরুত্ব থাকবে সর্বাধিক। আশা করি এই ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখতে পারবে আমাদের কমিটি'। ২২ সদস্যের এই কমিটির অনেকেই বিগত কমিটির বিভিন্ন পদে ছিলেন। এই কমিটিতে নতুন এসেছেন ক্রীড়াঙ্গনের আরেক পরিচিত মুখ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক ডা.দেবাশীষ চৌধুরি। 

বর্তমান সময়ে ক্রীড়া শুধু নিছক খেলাধুলার মধ্যে নেই। ক্রীড়ার সাথে বাণিজ্য,স্বাস্থ্য, রাজনীতি আরো অনেক কিছুর সম্পর্ক। আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনে ক্রীড়ার সাথে চিকিৎসার সম্পর্ক নিবিড়। সেই চিন্তার আলোকে দেশের ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনেক আগেই স্পোর্টস মেডিসিন নামে স্বতন্ত্র এসোসিয়েশন গঠন করে। এই এসোসিয়েশন অনেক দিনের পুরনো হলেও ক্রীড়াঙ্গনে সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারেনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড,ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন ছাড়া অন্য কোনো ক্রীড়া ফেডারেশন/সংস্থায় মেডিকেল কমিটি নেই। বিশেষ করে অ্যাথলেটিক্স ও অন্যান্য ডিসিপ্লিনে ইনজুরি সহ নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় অনেক ক্রীড়াবিদ ক্রীড়াঙ্গন থেকে ঝরে গেছেন। আগামীতে এই ঝরে পড়া রোধে এই এসোসিয়েশন কতটুকু ভূমিকা রাখতে  পারে সেটাই দেখার বিষয়। 

এজেড/