ভারতের পেস বোলার মোহাম্মদ শামির বিরুদ্ধে পরকীয়া, মারপিটসহ একাধিক অভিযোগ এনে মামলা করেন স্ত্রী হাসিন জাহান। তাদের এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে মামলা। এর মাঝেই ৬ বছর পর বৃহস্পতিবার মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেন শামি। সেই কথা নিজেই ইন্সটাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন হাসিন। পাশাপাশি শামিকে খোঁচা মেরে কথাও বলেন তিনি।

হাসিন ইন্সটাগ্রাম পোস্টে বলেন, ‘যাই হোক, আজ বেবো নিজের ড্যাডির সঙ্গে দেখা করতে গেছে। আল্লাহ আমার মেয়েকে সবার খারাপ নজর থেকে রক্ষা করুক।’ 

এই পোস্টে ভাসুর এবং জা’কে উদ্দেশে হাসিন লেখেন, ‘আজ তো শামা আর হাসিব নিশ্চয় ঘুমাতে পারেনি। শামির থেকে আমাকে আর আমার মেয়েকে দূরে রাখতে কম নোংরামি করেনি ওরা দুজনে। শামির মাথাতেও আমাকে নিয়ে নোংরামি আর লোভ ঢুকিয়েছে।’

এরপর হাসিন আরও লেখেন, ‘কিন্তু কথায় আছে সবুরে মেওয়া ফলে। আমি ধৈর্য ধরে এতদিন চুপচাপ অপেক্ষা করেছি, আর খোদার ওপর ভরসা রেখেছি। অবশেষে দেখুন, বাবা-মেয়ের মিলন হলো। আল্লাহ চাইলে, শামিও শুধরে যাবে ইনশাআল্লাহ! আল্লাহ আমার শত্রুদের মুখে জুতা মারবে, আমি ধৈর্য ধরে বসে রয়েছি।’

এরপর ফের একবার শামির দাদা-ভাবির দিকে আঙুল তোলেন হাসিন জাহান। তিনি বলেন, তাদের প্ররোচনাতেই নাকি শামি ভুল রাস্তায় হেঁটে নিজের সাজানো সংসার ভেঙেছেন। 

এর আগের এক পোস্টে হাসিন জানান, শিগগিরই হাইকোর্টে তার ডিভোর্স ও খোরপোষের মামলা উঠবে। তিনি বলেন, বাবা হিসেবে শামি ব্যর্থ। কখনোই মেয়ে আয়রাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা পর্যন্ত জানাননি, উপহার পাঠানো তো দূর কথা! শুধু মিডিয়ার সামনে লোক দেখানো নাটক করতেই ব্যস্ত থাকে সে।

হাসিন-শামির দাম্পত্য কলহ আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ডিভোর্স মামলা আদালতে ঝুলে রয়েছে। বরের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি নেই হাসিনের! দুজনের সম্পর্কের তিক্ততা কারো অজানা নয়। ২০১৪ সালে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন দুজনে। তাদের একমাত্র মেয়ে আয়রা।

এমএ