ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯৭ রান। তবে বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেটি করে দেখাতে পারেননি। ভারতীয় বোলারদের সামনে হয়েছে অসহায় আত্মসমর্পণ। ম্যাচে ৩ উইকেট পাওয়া কুলদীপ যাদব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন টাইগার ব্যাটারদের আটকানোর কৌশল। 

কুলদীপ বলেন, ‘আসলে সব ম্যাচকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়াটা জরুরি ব্যাপার। অবশ্যই আমরা সুপার এইট খেলছি, চাপ আছে অনেক। আমরা কিছুদিনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলব। এ ছাড়া উইকেট স্পিনারদের জন্য ভালো। আমি চার ওভার পেলাম। আমার প্ল্যানে আমি অটল ছিলাম। লেন্থে বল করে পেসে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছি। দারুণ লেগেছে।’

কুলদীপ আরও বলেন, ‘আসলে আমরা যে প্রান্ত থেকে বল করছিলাম সেখান থেকে কিছুটা কঠিন ছিল বল করাটা। আসলে আমি বাতাস নিয়ে তেমন ভাবিনি। আমি নিজের লেন্থে অটল ছিলাম। ব্যাটারকে পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। ব্যাটারদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে চেয়েছিলাম। লাইন লেন্থ ঠিক রেখে বল করে যাচ্ছিলাম। তারা বাতাসকে টার্গেট করেছিল। আমি সে অনুযায়ী কাজ করে গেছি।’

বাংলাদেশের ব্যাটারদের কীভাবে  সে সম্পর্কে কুলদীপ বলেন, ‘আসলে যখন ব্যাটারদের ১০ রান করে দরকার হয়, তখন তারা আক্রমণ করবে। আমার প্ল্যান ছিল লেন্থে অটল থাকা। তারা অবশ্যই আক্রমণ করতে চাইবে। ভালো লেন্থে বল করতে থাকলে সুযোগ থাকবে ব্যাটারকে আউট করার। যদি সে মিস করে আমি হিট করব।’

আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে লাগছে কী না— এমন প্রশ্নে কুলদীপ বলেন, ‘আইপিএল একদম ভিন্ন। আইপিএলে আপনি কী করবেন আর বিশ্বকাপে কী করবেন, একদম ভিন্ন ব্যাপার। কোটলা ভারতের সবচেয়ে ছোট মাঠ। উইকেট এখানে স্পিনারদের সাহায্য করছে। মাঝে মধ্যে বড় বাউন্ডারি থাকে। নিজেদের পক্ষে থাকলে তো ভালোই লাগে ব্যাপারটা। একই সঙ্গে দুনিয়ার যেকোনো স্পিনারের জন্য লেন্থ অনেক জরুরি ব্যাপার। এই ফরম্যাটে আপনাকে ব্যাটারকে পড়তে হবে। সবসময় অনেক আগ্রাসী থাকতে হবে। এটা আইপিএলে আমাকে সাহায্য করেছে, এখানে বিশ্বকাপেও সাহায্য করেছে।’

এসএইচ/এমজে