শেষের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের দশম আসর। লিগ পর্বের ম্যাচ শেষে এবার উপস্থিত প্লে-অফ পর্ব। এরইমাধ্যমে পর্দা নামবে দেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের টুর্নামেন্টের। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিপিএল হয় ৫০ ওভারে। আর এনসিএল, বিসিএল চলে টেস্ট ফরম্যাটে। 

এখানেই আপত্তি তুলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকালে দেশের টি-টোয়েন্টি কাঠামোর সমালোচনা করেছিলেন এই লঙ্কান কোচ। তাতেই ক্ষান্ত হননি তিনি। দাবি জানিয়েছেন সম্পূর্ণ দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে বিপিএলের মতো আরও একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের।   

এবার সেই কথার সঙ্গে শতভাগ একমত পোষণ করেছেন চলমান বিপিএলে কোয়ালিফায়ারে উঠা দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোম। জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারের মতে নতুন আরেকটি টুর্নামেন্ট দেশি খেলোয়াড়দের জন্যই উপকার বয়ে আনবে। 

আজ রোববার গণমাধ্যমে শুভাগত বলেন, ‘অবশ্যই আমি (হাথুরুসিংহের সাথে) শতভাগ একমত। বিপিএল যখন খেলি আমরা হয়ত সেরকমভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি না। সারা বছর হয়ত প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলি। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে বিপিএলের মত কোথাও খেলার জন্য আগে আরেকটা টুর্নামেন্ট যদি খেলে আসতে পারি দেশি প্লেয়ারদের জন্য সেটা ভালো। ওই টুর্নামেন্ট যারা ভালো খেলব তারাও এখানে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারবে। নতুনরাও সুযোগ পাবে।’

বিপিএল নিয়ে শুভাগত আরও বলেন, ‘আমাদের প্লেয়ারদের দেখে নেওয়ার সুযোগ আমরা পাচ্ছি। ফ্র্যাঞ্চাইজির দিক থেকে এটা আসলে আমাদের পার্ট না। বোর্ডের সাথে তাদের কী কমিটমেন্ট আছে সেটা (তাদের ব্যাপার)। এটা আমাদের জন্য ভালো সুযোগ। প্লেয়ারদের জন্য ভালো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললে ইতিবাচকই হবে আমাদের জন্য।'

বিপিএলের পিচের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। সিলেট আর মিরপুর এবারেও করেছে হতাশ। তবে চট্টগ্রামের পিচে হয়েছে রানের উৎসব। শুভাগতর চাওয়া তেমন বড় রানের উইকেট, ‘টি-টোয়েন্টিতে সবাই অবশ্যই রানের উইকেট চায়। এবারের উইকেটও ভালো ছিল। মিরপুরের প্রথম দিকে সেইরকম উইকেট হয়তবা আমরা পাই নাই। চট্টগ্রাম, সিলেটে যেমন উইকেট ছিল সবাই হাইস্কোরিং ম্যাচই দেখেছে। এরকম উইকেটই আশা করি। রান হবে, বোলার ব্যাটার সবাই সুবিধা হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হবে। সবার এটাই প্রত্যাশা আমরাও এটা আশা করি।’

এসএইচ/জেএ