পাকিস্তানের শাস্তিতে কপাল খুলেছে ভারতের
অস্ট্রেলিয়ার কাছে নাস্তানাবুদ হওয়াটা যেন যথেষ্ট ছিল না পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য। এর সঙ্গে নতুন এক দুঃসংবাদও এবার হজম করতে হচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে প্রায় অধরা হয়ে ওঠা জয়ের সন্ধানেই পার্থে খেলতে নেমেছিল শান মাসুদের দল। কিন্তু তাদের হারতে হয়েছে ৩৬০ রানের বড় ব্যবধানে।
এরপরেই এবার পাকিস্তানকে শাস্তি পেতে হচ্ছে স্লো-ওভার রেটের কারণে। পার্থ টেস্টে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোলিং করতে না পারায় ভুগতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। দলের সব খেলোয়াড়কে ম্যাচ ফি'র ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি মোহাম্মদ হাফিজ শিষ্যদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকা থেকেও ২ পয়েন্ট কেটে নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শাস্তির বিষয়টি জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি জাভাগেল শ্রীনাথ পাকিস্তানের ওপর এই শাস্তির রায় দিয়েছেন। আর তাতে কপাল খুলেছে ভারতের। রাহুল দ্রাবিড় শিষ্যদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে শান মাস
তবে এমন শাস্তির পর বেশ বিপাকেই পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানকে। এমনিতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় হারের কারণে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে পিছিয়ে পড়েছে দলটি। এই শাস্তির পর ৬৬.৬৭ থেকে শাস্তি ৬১.১১ এ নেমে এসেছে। আর তাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের শীর্ষস্থান আরও কিছুটা মজবুত হয়েছে। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পরপরই পাকিস্তানকে টপকে শীর্ষে উঠে গিয়েছিল ম্যান ইন ব্লু-রা।
আগামী সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে ভারত। সেখানে জয় পেলে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে আরও অনেকটা এগিয়ে যাবে রোহিত শর্মার দল। পাকিস্তানের সামনেও আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও দুই টেস্ট। কিন্তু পাকিস্তানের বর্তমান এই দলটির জন্য অজিদের বিপক্ষে জয় পাওয়া কিছুটা কঠিনই বটে।
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে এবং সিডনিতে ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্টে জয় না পেলে পাকিস্তান আরও অনেকটা পিছিয়ে যেতে পারে জয়ের শতকরা হিসেবে। তাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ভারতের জন্য সুবিধাই বাড়বে অনেক বেশি।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্লেয়িং কন্ডিশনের ১৬.১১.২ ধারা অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে এক ওভার কম করার জন্য এক পয়েন্ট করে কেটে নেয়া হয়। অন্যদিকে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী, ২.২২ ধারা অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতি এক ওভার কম করার জন্য দলের সকল সদস্যের ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
পার্থে সফরকারী দল নির্ধারিত সময়ে দুই ওভার কম করেছিল বলে জানান ম্যাচের দায়িত্বে থাকা চার আম্পায়ার। স্বাভাবিকভাবেই তাই ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ কর্তনের পাশাপাশি কেটে নেওয়া হয়েছে ২ পয়েন্ট।