ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০২৩ শেষ হওয়ার দুসপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও বিশ্বকাপ উন্মাদনার রেশ যেন এখনো কাটছে না। ঘরের মাঠে ভারতের হৃদয় জ্বালিয়ে ছারখার করে ট্রফি জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালের মঞ্চে সেই ট্রফি অজি দলনেতার হাতে তুলে দেন খুদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী। 

সেদিন টিম অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেন নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মার্লে। তখন মোদির সঙ্গে করমর্দনের পর ট্রফি হাতে মঞ্চে ১০ মিনিট একা ছিলেন অজি দলনেতা। 

তাকে তখন কিছুটা অপ্রস্তুত, বিভ্রান্ত দেখাচ্ছিল। সেই মুহূর্তে কী করা উচিৎ যেন বুঝতে পারছিলেন না কামিন্স। অথচ একটু দূরেই তার সতীর্থেরা অপেক্ষা করছিলেন বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতবেন বলে। বিশ্বকাপ ফাইনালে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের সেই দৃশ্য এখনও মনে আছে ক্রিকেট প্রেমীদের। 

এবার সেই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে থাকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কী হয়েছিল সেই ১০ মিনিটে? সে সময় চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যদের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। তাই সৌজন্যের খাতিরে সেখানে যেতে পারছিলেন না কামিন্স। আবার সতীর্থদের কাছে যাওয়ার তর সইছিল না তার। সে সময় কামিন্সের অবস্থার কথা বলেছেন ম্যাক্সওয়েল।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ফাইনালের পর পুরস্কার দেওয়ার ওই অংশের ভিডিওটা দেখলে বেশ মজা লাগছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে হাত মেলানোর পর কামিন্সকে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। ১০ মিনিট ধরে কামিন্স ট্রফি নিয়ে মঞ্চে অপেক্ষা করেছিল। 

জানি সে সময় আমাদের কাছে ওর আসতে ইচ্ছা করছিল। তবু সৌজন্য বজায় রেখেছিল। দারুণভাবে পরিস্থিতি সামলেছিল। কামিন্স হয়তো ভাবছিল, সম্মান বজায় রাখতে মঞ্চে অপেক্ষা করাই ভালো। তবে বলতে পারি অন্য কেউ হলে কিন্তু ওর মতো আচরণ করত না।

সেই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ম্যাক্সওয়েল কৃতিত্ব দিয়েছেন কামিন্সের শান্ত স্বভাব ও ধৈর্য্যকে। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার অন্য কোনো ক্রিকেটার হলে বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে হয়তো এভাবে একা মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকতেন না। সঙ্গে সঙ্গে সতীর্থদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতেন। 

এমএসএ