অ্যানফিল্ডকে রীতিমতো দুর্গ বললেও কখনো কখনো সেটা অস্বাভাবিক হয় না। ইউরোপের বড় বড় সব ক্লাবও মার্সেসাইডের এই মাঠে এসে নাস্তানাবুদ হয়েছে। সম্ভাব্য সব শিরোপায় হাত রাখা ম্যানচেস্টার সিটি এই মাঠে জয় পায়নি সবশেষ ৮ বছর। সেই অ্যানফিল্ডেই কাল কপাল পুড়েছে ফুলহ্যামের। ৮৬ মিনিটে ৩-২ গোলে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচটা তারা হেরেছে শেষ পর্যন্ত। 

এই ম্যাচ জয়ের পর তালিকার দুইয়ে উঠে আসে ইউর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ম্যানসিটি-টটেনহ্যামের ম্যাচ ড্র হওয়ার সুবাদে সেই জায়গা থেকে নড়তে হয়নি তাদের। ১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট সংগ্রহ তাদের। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ম্যানসিটি আর আর্সেনাল আছে শীর্ষে। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩৩।

লিভারপুল ৪-৩ ফুলহ্যাম 

অ্যানফিল্ডে লিভারপুল প্রথম গোলটি পায় ফুলহ্যামের সৌজন্যে। ডিবপক্সের খানিকটা বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় লিভারপুল। অনেকটা দিন ধরেই লিভারপুলের ফ্রিকিক মানেই আলেক্সান্ডার আর্নল্ড। তারি নেওয়া শট আটকাতে গিয়ে ফুলহাম গোলকিপার বার্নড লেনো নিজের জালে বল পাঠান। তবে সেই লিড টেকে মোটে ৪ মিনিট। অলরেডদের এলোমেলো ফুটবলের ভিড়ে গোল করে সমতা আনেন হ্যারি উইলসন।

৩৮ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় লিভারপুল। ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে লিভারপুলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন মাক অ্যালিস্টার। অনেকেরই মতে চলতি বছরে প্রিমিয়ার লিগের সেরা গোলটাই করে বসেছেন এই মিডফিল্ডার। সর্বশেষ দলবদলে অ্যানফিল্ডে যোগ দেওয়ার পর এটিই বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের লিগে প্রথম গোল।

তবে প্রথমার্ধের নাটক তখনো শেষ হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে ফুলহামের পক্ষে ২–২ সমতা নিয়ে আসেন কেনি তেতে। এই গোলেও চোখে পড়েছিল লিভারপুলের বদলি গোলরক্ষক কোয়াওমিন কেলেহারের অনভিজ্ঞতা। গোলবারের নিচে অ্যালিসন বেকারের অনুপস্থিতি ভালোভাবেই টের পেয়েছে অলরেডরা। 

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু থেকে উত্তাপ ছড়ালেও গোলের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৮০ মিনিট পর্যন্ত। ফুলহ্যামের পক্ষ গোল করে ৩-২ গোলের লিড এনে দেন ববি রেইড। কিন্তু মাঠ যখন অ্যানফিল্ড, তখন লিভারপুলের কাছ থেকে সহজে নিস্তার পাওয়া কষ্ট। ফুলহ্যামও নিস্তার পায়নি। ৮৭ মিনিটে জাপানি মিডফিল্ডার ওয়াতারু এনডোর দুর্দান্ত এক গোলে ম্যাচে ফেরে অলরেডরা। ঠিক ম্যাক অ্যালিস্টারের গোলটাই যেন কপি করলেন এই মিডফিল্ডার। 

আর জয় নিশ্চিত হয়েছিল আলেকজান্ডার আর্নল্ডের গোলে। এন্ডোর গোলের ঠিক এক মিনিট পরেই স্কোরশিটে নাম ওঠে আর্নল্ডের। কস্তাস সিমিকাসের বাড়ানো বল বুক দিয়ে রিসিভ করে ভলি! কপ এন্ডে তখন শুরু হয়েছে বুনো উল্লাস। আর দুই মিনিটে দুই গোল হজম করে ফুলহ্যাম তখন ডুবেছে গভীর হতাশায়।  

জেএ