ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ জেতার আশায় ২০২১ সালে ভারত জাতীয় দলের দায়িত্ব রাহুল দ্রাবিড়ের কাঁধে তুলে দিয়েছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবেই ভাল খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। দুই আইসিসি ইভেন্ট ফাইনাল (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বিশ্বকাপ) হারলেও পারফর্ম্যান্স নিয়ে অসন্তোষ ছিল না কারোরই। 

বিশ্বকাপের পরপরই কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের কোচিং মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিশ্বকাপের পর থেকেই দলের সঙ্গে নেই তিনি। চলমান অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ভারতের কোচ হিসেবে আছেন তারই একসময়ের সতীর্থ এবং জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচ ভিভিএস লক্ষ্মণ। এরমাঝে অবশ্য খবর বেরিয়েছে, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড লক্ষ্মণকেই বিবেচনা করে রেখেছে পরবর্তী কোচ হিসেবে। 

কিন্তু শেষ হয়নি চমক। ক্রিকেটের বিশ্বস্ত সূত্র ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এখনো নাকি দ্রাবিড়েই আস্থা রাখছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার শেষ দুই বছর ভারত দলে যে ছক এনেছেন, তা ভেঙ্গে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই নাকি তাকে রেখে দেওয়ার কথা উঠেছে বিসিসিআই কর্তাদের মাঝে। আর সেক্ষেত্রে হয়ত আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই ভারতের কোচ হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ শুরু করবেন দ্য ওয়াল খ্যাত রাহুল দ্রাবিড়। 

যদিও রাহুল দ্রাবিড় নিজে এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন কিনা তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে তার থেকে যাওয়ার অর্থ, আগের কোচিং স্টাফদের সকলেই নতুন করে যুক্ত হবেন দলের সঙ্গে। সেক্ষেত্রে বিকম রাঠোর থাকবেন ব্যাটিং কোচ হিসেবে। আর পরশ মামব্রেকে দেখা যাবে বোলিং কোচের ভূমিকায়। টি দিলীপ যথারীতি ফিল্ডিং কোচের পদ সামাল দেবেন। 

এদিকে গত সপ্তাহেই বলা হয়েছিল, জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছেন না সাবেক এই ক্রিকেটার। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কাজ করতে আগ্রহী তিনি। সেখানকার দল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মেন্টরের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন দ্রাবিড়। ইতোমধ্যেই ফ্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে দ্রাবিড়ের।

দ্রাবিড় ঠিক কী চাইছেন, তা নিয়েও আছে প্রশ্ন। বিশ্বকাপের ফাইনালের পরেও তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যায়নি। ফাইনালের পর নিজের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রশ্নের উত্তরে দ্রাবিড় বলেছিলেন, ‘সত্যি বলতে আমি এটা (২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) নিয়ে ভাবিনি। আমার মনে হয় আমাদের সব আয়োজন, এনার্জি, ফোকাস এই ম্যাচ ও টুর্নামেন্টে ছিল। এখন অবধিও তাই। আমি এখন ওসব নিয়ে ভাবিনি, ভবিষ্যতে কী হবে এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনাও নেই।’
জেএ