কাতার বিশ্বকাপের মরক্কো বিপক্ষে কেন রোনালদোকে শুরুর একাদশে নামানো হয়নি? এমন এক প্রশ্ন হয়ত আজও তাড়া করে বেড়ায় পর্তুগাল ফুটবলের ভক্তদের। কে জানতো, রোনালদো থাকলে হয়ত সেদিন কোয়ার্টার ফাইনালের ফলাফলই অন্যরকম হতে পারতো পর্তুগালের জন্য। কিন্তু সেটা হয়নি। বড় প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে হাজির হওয়া পর্তুগাল থেমেছে শেষ আটে। রোনালদোও বঞ্চিত হয়েছেন শিরোপা স্বপ্ন থেকে। 

বিশ্বকাপ শেষের প্রায় ১১ মাস পর অবশেষে সেদিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেছেন পর্তুগালের সাবেক কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রোনালদোর সঙ্গে সম্পর্কসহ অনেক ইস্যুতেই আলাপ করেছেন সাবেক পর্তুগিজ কোচ। জানালেন, রোনালদোকে নিজের ছেলের মতোই দেখতেন তিনি। তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর গত ১১ মাসে তাদের কোন কথাই হয়নি। 

নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য অসন্তুষ্ট নন এই কোচ, ‘আমি কাতারে কিছু কৌশলগত পরিবর্তন এনেছিলাম। এজন্য আপনাকে পেছনের গল্পটা জানতে হবে। আমি আগেই বলেছিলাম, সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, তবে সেই সময়ে সময়টা তার জন্য খুব কঠিন ছিল। তার ব্যক্তিগত জীবন বিবেচনা করলেও ২০২২ সালের শেষ ছয় মাস খুব কঠিন ছিল। সেই ইউনাইটেডের প্রাক-মৌসুম ক্যাম্পে ছিল না। আর যখন ফিরে আসে, তখনও নিয়মিত ছিল না।’ 

রোনালোদোর শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলেও তিনি ছন্দ হারিয়েছিলেন বলে মন্তব্য সান্তোসের, ‘আমরা যদি টেস্ট করতাম, সে সবার উপরেই থাকতো। আমরা যদি স্প্রিন্ট টেস্ট করতাম বা শারীরিক সক্ষমতার কোন পরীক্ষা নিতা, সে হয়ত জিতেই যেতো। তবে সে ছন্দে ছিল না।’ যদিও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই রোনালদো ছন্দ ফিরে পান বলে মন্তব্য তার।   

মরক্কোর সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে রোনালদো ভুল বুঝেছিলেন বলেও জানান এই কোচ, ‘ওটা একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল। আমি আর আমার দল এটা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম এবং ভেবেছিলাম এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। এটা খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না, তবে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আমি সবসময় বিশ্বাস করতাম, সে বদলি নেমে ম্যাচ বদলে দেবে।’

জেএ