পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের পার্থক্যটা স্পষ্ট দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। জামাল ভূঁইয়ার সোল দে মায়ো আছে ৬ নাম্বারে। আর প্রতিপক্ষ সানসিনেনা আছে চতুর্থ স্থানে। পয়েন্ট টেবিলে সেনসিনেনা এগিয়ে ৬ পয়েন্টে। তবে সোল দে মায়োর আজকের খেলায় তেমন ছাপ পড়লো না মোটেই। দুর্দান্ত ফুটবলে প্লে-অফের স্বপ্ন দেখতে থাকা দলটিকে উড়িয়ে দিয়েছে সোল দে মায়ো।

আগের ম্যাচের মত এই ম্যাচেও অধিনায়কের আর্মব্যান্ড বাংলাদেশি জামালের বাহুতে। বোঝাই যাচ্ছিল, আর্জেন্টাইন ম্যানেজমেন্টের মনে ধরেছে এই মিডফিল্ডারকে। নিজের স্বভাবসুলভ সেন্ট্রাল মিডেই খেলেছেন আজ। গোলও পেয়েছেন স্পটকিক থেকে। জামালের দ্বিতীয় গোলের দিনে সানসিনেনাকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে সোল দে মায়ো। 

অথচ ম্যাচের মাত্র তিন মিনিটেই গোল হজম করে স্বাগতিক সোল দে মায়ো। দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাকে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে বল পান সানসিনেনা স্ট্রাইকার ডেভিড ভেলিজ। মাটি কামড়ানো শটে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। 

গোল হজমের পরেই খোলস ভেঙে আসতে থাকে সোল দে মায়ো। লংবলে আক্রমণে শাণিয়েছে জামালের দল। তাতে সুফলও মিলেছে। প্রতিপক্ষ ডিবক্সে নিজেদের বোঝাপড়ায় দলকে সমতায় আনেন কুচিচ মাতিয়াস। 

সমতায় আসার ৯ মিনিটের মাথায় আবার সোল দে মায়োর গোল। এবার স্কোরার জামাল ভূঁইয়া। স্পটকিকে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। আর বিরতির ঠিক আগে জোনাথন রিভেরোর ফ্রিকিক থেকে গোল করেন সান্তিয়াগো লোপেজ। ৩-১ গোলের লিডে টানেলে ফেরে দুই দল। 

প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিল সেখান থেকেই যেন দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেছে সোল। সানসিনেনা একাধিকবার আক্রমণ করলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল জামালদের কাছেই। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে সেই আক্রমণাত্মক খেলারই সুফল পায় তারা। ডিবক্সের বাইরে থেকে রিভেরোর দুর্দান্ত ফ্রিকিক খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা। ৪-১ গোলের লিড পেয়ে যায় সোল দে মায়ো। ম্যাচের শেষ সেকেন্ডে অবশ্য পেনাল্টি পায় সেনসিনেনা। তাতে গোল করে ব্যবধান কমিয়েছেন ইরিয়ার্তে। 

এই ম্যাচ শেষে ২৭ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল সোল দে মায়ো। তারা আছে তালিকায় ৬ নাম্বার স্থানে। আর এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৪ নাম্বারে আছে সেনসিনেনা। 

জেএ