বিচ্ছেদ নিয়ে সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিক দুজনই চুপচাপ রয়েছেন। তবে ভারত এবং পাকিস্তান এই দুদেশেই জোর গুঞ্জন উঠেছে—বিয়ে ভাঙছে সানিয়া-শোয়েবের। কেউ কেউ বলছেন, এই তারকা দম্পতির সম্পর্ক নাকি একপ্রকার ভেঙেই গেছে। আর এর কারণ হিসাবে উঠে এসেছে পাকিস্তানি মডেল আয়েশা ওমরের সঙ্গে শোয়েবের সখ্যতা। 

সম্প্রতি মেয়ে জামাই শোয়েবকে নিয়ে মুখ খুলেছেন সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। 

ইমরান মির্জা লিখেছেন, গত কয়েক দিন ধরে আমাদের জীবনের একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে নিয়ে প্রকাশ্যে অনেক আলোচনা হচ্ছে, এই ঘটনায় আমি এবং আমার পরিবার বিধ্বস্ত। আংশিক সত্যির ওপর ভরসা করে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরক্ত করা হচ্ছে। শোয়েব এবং সানিয়া গত ১২ বছর ধরে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছে। বাকিদের মতোই ওদের জীবনেও ওঠানামা রয়েছে। টম, ডিক ও হ্যারির মতো কিছু কিছু ব্যক্তি সেটাকে নিয়ে উত্তেজক কাহিনী তৈরির করার চেষ্টা করছেন, সেটা আমরা সমর্থন করি না।

২০১০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সানিয়া ও শোয়েব। ২০১৮ সালে সানিয়া-শোয়েবের ঘর আলো আসে পুত্রসন্তান ইজহান মির্জা মালিক। বর্তমানে মায়ের সঙ্গেই রয়েছে ইজহান। 

শোনা যাচ্ছিল, অনেকদিন ধরেই নাকি একসঙ্গে থাকছেন না সানিয়া ও শোয়েব। তাদের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানিয়েছেন, সানিয়া-শোয়েবের বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে গেছে। তবে এর বেশি এখনই তিনি কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান ওই ব্যক্তি। 

২০২১ সালে একাধিক বোল্ট ফটোশ্যুটে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেছে আয়েশা ও শোয়েবকে। সে সময় শোয়েব বলেছিলেন, ফটোশ্যুটের জন্য আয়েশা তাকে দারুণ সাহায্য করেছেন। 

২০১৫ সালে ‘করাচি সে লাহোর’ সিনেমার হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রাখেন আয়েশা। ২০১৭ সালে ‘ইয়ালঘর', ২০১৯ সালে ‘নাটক কাফ কঙ্গনা’ ছবিতে অভিনয় করেন আয়েশা। ‘চলতে চলতে’, ‘খামোশি’ নামে দুটি মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায় আয়েশাকে। বর্তমানে আয়েশা পাকিস্তানের অন্যতম সর্বোচ্চ আয়কারী অভিনেত্রী।

২০১৯ সালে আয়েশাকে সম্মানিত করে পাকিস্তানের ওয়ার্সি আন্তর্জাতিক সংস্থা তমঘা-ই-ফখর-ই-পাকিস্তান। অভিনয়ের পাশাপাশি সঞ্চালনাও করেন আয়েশা। তাঁর একটি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। 

তবে শুধু আয়েশা নন, এর আগে আরেক পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খানের সঙ্গেও শোয়েব মালিকের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কথা শোনা গিয়েছিল। আর এই গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল চলতি বছরের শুরুর দিকে। 

একবার মাহিরার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে যোগ দিয়ে প্রকাশ্যেই তার সঙ্গে ফ্লার্ট করতে দেখা গিয়েছিল শোয়েবকে। মাহিরা বলেছিলেন, ‘আমাদের দুজনেরই বয়স বেড়েছে’, তখন শোয়েব বলেন, ‘আমার বয়স বাড়লেও মাহিরার বাড়েনি।’ পাল্টা মাহিরা যখন প্রশ্ন করেন ‘বৌদি এই লাইভ দেখছে কি?’ শোয়েব তখন জানান, ‘সানিয়া তার বৌদি নন।’

কেএ