ছবি : ইএসপিএন ক্রিকইনফো

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও সফরকারী পাকিস্তান। সেখানে আগের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছিল কিউইরা। মঙ্গলবার তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যাল্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে শাদাব খানের দল।

করোনার মধ্যে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে স্বস্তি নেই পাকিস্তানের। সিরিজ শুরুর আগে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকেও একাধিক ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে ছিটকে যান দলের নিয়মিত অধিনায়ক বাবর আজম। বাইশ গজেও বেহাল দশা সফরকারীদের। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুর দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হারিয়েছিল পাকিস্তান।

শেষ ম্যাচে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তানের অধিনায়ক শাদাব। ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা করেন কিউইদের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও টিম সেইফার্ট। দলীয় ৪০ রানে গাপটিল আউট হন ১৯ রান করে। অধিনায়ক উইলিয়ামসন সুবিধা করেন পারেননি একেবারেই, ফিরেছেন ১ রান করে। 

তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সেইফার্ট আউট হন ৩৫ রান করে। এরপর দলের হাল ধরেন ডেভন কনওয়ে। ৪৫ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। তবে শেষদিকে আর কোনো ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে না পারলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৭৩ রান জমা করে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ।

১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জ্বলে ওঠে পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট। আরেক অপেনার হায়দার আলী ১১ রান করে আউট হলেও মোহাম্মদ হাফিজকে সাথে নিয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন রেজওয়ান। হাফিজ ফেরেন ২৯ বলে ৪১ রান করে। এরপর খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, শাদাবরা রান করতে ব্যর্থ হলে একাই ম্যাচ টেনে নেন রেজওয়েন।

পরে অবশ্য জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে ৫৯ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পরে ২ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৫ রান খরচ করে ২ উইকেট পান টিম সাউদি।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর

নিউজিল্যান্ডঃ ১৭৩/৭ (২০ ওভার)
কনওয়ে ৬৩, সেইফার্ট ৩৫, গাপটিল ১৯; ফাহিম আশরাফ ৩/২০।

পাকিস্তানঃ ১৭৭/৬ (১৯.৪ ওভার)
রেজওয়ান ৮৯, হাফিজ ৪১, ইফতেখার ১৪*; সাউদি ২/২৫।

এমএইচ