জুমার নামাজ যেভাবে পড়লে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন
জুমাবার বা শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে জুমার দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু এই উম্মতের জন্য এই দিনটি আরও বিশেষভাবে মর্যাদাপূর্ণ। পবিত্র কোরআনুল কারিম ও হাদিস শরিফে এই দিনের বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান বর্ণিত হয়েছে।
জুমার দিন আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ক্ষমা করেন। এই দিন আল্লাহর ক্ষমা লাভের তালিকায় অনেক বান্দা থাকেন। আল্লাহ তাআলা জুমার দিন কাদের ক্ষমা করেন, সেগুলো হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তা আলোচনা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জুমার দিন যাদের ক্ষমা করা হয়
প্রখ্যাত সালমান ফারসি থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো, সেখানে দুইজন মুসল্লির মধ্যে ফাঁক করে সামনে এগিয়ে যায় না, নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ পড়ল, অতঃপর ইমাম কথা শুরু করলে চুপ থাকল; তাহলে আল্লাহ তাআলা তার দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ করবেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৮৩)
জুমার দিন দোয়া কবুলের সময়
এছাড়াও জুমার দিন দোয়া কবুল হয়। এই দিন একটি সময় আছে যখন মানুষ আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে ভালো কিছুর দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা সময়টি আসরের পর অনুসন্ধান করো।’ (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর : ১০৪৮)