ঘুম থেকে উঠে যে দোয়া পড়বেন
ঘুম আল্লাহর অনুগ্রহ ও নেয়ামত। মানুষের ক্লান্তি-অবসাদ দূরে ঘুমের অবদান অসামান্য। এটি মহৎ ইবাদতও বটে। মুমিনের কোনো কাজ যখন আল্লাহর হুকুম ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নত মোতাবেক হয়, তখন তা ইবাদতে পরিণত হয়।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী।’ (সুরা নাবা, আয়াত : ০৯)
বিজ্ঞাপন
ঘুমানো ও ঘুম থেকে উঠার দোয়া ও আমল সম্পর্কে হাদিসে বিভিন্ন নির্দেশনা এসেছে।
ঘুম থেকে উঠার দোয়া
الحمدُ لله الذي أحيَانَا بَعْدَ مَا أماتَنَا وإليه النُّشُوْر
উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’
অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত করার পর পুনরায় জীবিত করেছেন। আর তার দিকেই সবার পুনরুত্থান। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)
আল্লাহর কাছে এই দোয়াটি করা। উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতের ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই দোয়া পাঠ করবে—
لا إله إلا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير، الحمد لله وسبحان الله، ولا إله إلا الله واالله أكبر، ولا حول ولا قوة إلا بالله
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আল-হামদু লিল্লাহ, ওয়া সুবহানাল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’
অথবা এই দোয়া পড়া যায়—
‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি’ বা ‘হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করে দিন।’
অথবা মন মতো অন্য কোনো দোয়া করবে। ওই সময় যে দোয়া করা হবে, আল্লাহ তাআলা সেই দোয়া কবুল করবেন। আর যদি কেউ অজু করে এবং নামাজ আদায় করে, তার নামাজ কবুল করা হবে। (বুখারি, হাদিস : ১১৫৪)