যে ৩ সময়ে দোয়া কবুল হয়
দোয়া ইসলামের অন্যতম ইবাদত। হাদিস শরিফে দোয়াকে ইবাদতের মগজ আখ্যায়িত করা হয়েছে। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর ওলি হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো পাপী বান্দার দোয়াও মহান আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে দোয়ায় মত্ত হয়ে যেতেন।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমার কাছে আমার বান্দা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও যে), নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছে। প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৬)
বিজ্ঞাপন
নিচে দোয়া কবুলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সময় নিয়ে আলোচনা করা হলো—
এক. আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া
আজান-ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া কবুল হয়। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (তিরমিজি, হাদিস : ২১২)
দুই. ফরজ নামাজের পর দোয়া করা
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! কোন সময়ের দোয়া দ্রুত কবুল হয়? তিনি জবাব দিলেন, রাতের শেষ সময়ে এবং ফরজ নামাজের পর। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৯৮) এ ছাড়া রোগাক্রান্ত অবস্থায়, বালামসিবতের সময়, দূরবর্তী সফরের সময় এবং মা-বাবার দোয়া কবুল হয় বলে হাদিসে এসেছে। আর দোয়া কবুলের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস রাখা চাই এবং অব্যাহত দোয়ায় মত্ত থাকা চাই। মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।
তিন. শেষরাতে দোয়া করলে কবুল হয়
শেষ রজনী দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত। কেননা এ সময় আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ প্রহরে (যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে) দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। তিনি তখন বলেন, ‘আছ কি কোনো আহবানকারী, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কোনো প্রার্থনাকারী কি আছ, আমি তোমাকে যা চাও তা দেব। কেউ কি ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)