ছবি : সংগৃহীত

বিড়াল বন্ধুসুলভ দারুণ গৃহপালিত এক প্রাণী। মানুষের সঙ্গে মুহূর্তেই মিশে যেতে পারে। সামান্য আদর-যত্ন করলে ও খাবার-দাবার দিলে— বিড়াল সহজেই পোষ মেনে যায়। রাসুল (সা.) নিজের অজুর পাত্র থেকে বিড়ালকে পানি পান করানোর কথা হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। প্রখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-এর বিড়ালপ্রীতির কথাও প্রসিদ্ধ।

অনেকেই শখের বশে বিড়াল পুষে থাকেন। একটি, দুইটি কিংবা আরও বেশি। বিড়াল পালন করতে গেলে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় আসে। বরং বলা উচিত কিছু বিষয়ের মুখোমুখি হতে হয়। তন্মধ্যে একটি হলো- যেসব খাবারে বিড়াল মুখ দেয়, ওইসব খাবার খাওয়া জায়েজ হবে কিনা ইত্যাদি।

এর উত্তর হলো- বিড়ালের মুখ দেওয়া খাবার খেতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে যদি কারও রুচিতে ভালো না লাগে, তাহলে খাবে না। বিড়ালকে কিংবা অন্য কোনো প্রাণীকে দিয়ে দেবে।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘বিড়াল নাপাক নয়। এটা তোমাদের আশেপাশে ঘনঘন বিচরণকারী বা বিচরণকারীণী। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৭; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৬৭; মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২৩১৯১; মিশকাত, হাদিস : ৪৮)

আরও পড়ুন : বিড়াল পালন সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

তাবেয়ি দাউদ ইবনুস সালিহ (রহ.) তার মা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার মায়ের মুক্তিদানকারিণী মনিব একবার তাকে কিছু ‘হারিসা’ নিয়ে আয়েশা (রা.)-এর নিকট পাঠান। তখন তিনি তাকে নামাজরত অবস্থায় পান। আর তিনি আমাকে ইশারা করে খাবারটি রেখে যেতে বললেন। এসময় একটি বিড়াল আসল এবং তা থেকে কিছু খেয়ে ফেলল। নামাজ শেষে আয়েশা (রা.) বিড়ালের খাওয়া স্থান হতেই কিছু খাবার খেলেন এবং বললেন, আল্লাহ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘বিড়াল নাপাক নয়। তা তোমাদের পাশে অধিক বিচরণকারী একটি জন্তু। আর আমি রাসুল (সা.)-কে তার উচ্ছিষ্ট পানি দিয়ে অজু করতে দেখেছি। (আবু দাউদ, হাদিস : ৭৬; মিশকাত, হাদিস : ৪৮৩)