ছবি : সংগৃহীত

নামাজে কি প্রতি রাকাতে সানা পড়তে হয়? নাকি শুধু প্রথম রাকাতে সানা পড়লে হয়? অন্য কোনো রাকাতে আর সানা পড়া লাগে না? নামাজে সানা পড়ার নিয়ম কী?

নামাজে আল্লাহু আকাবার বলে নিয়ত বাঁধার পর প্রথম কাজ হলো- সানা পড়া। এজন্য এটাকে শুরু করার দোয়া বলা হয়। আর এটা পুরা নামাজে একবারই পড়তে হয়, একাধিকবার পড়ার নিয়ম নেই। কেননা, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজ শুরু করে (তাকবিরে তাহরিমার পর) বলতেন–

আরবি :

سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالِىْ جَدُّكَ وَلَا اِلَهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণ : সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআ-লা জাদ্দুকা, ওয়ালা ইলাহা গায়রুক।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বরকতপূর্ণ, আপনার মাহাত্ন সুউচ্চ এবং আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই)। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮০৪)

উল্লেখ্য, কেউ একা পড়ুক বা জামাতে নামাজ পড়ুক— উভয় অবস্থায় সানা পড়া সুন্নাত। ইমাম আস্তে কেরাত পড়া অবস্থায় ইমামের সঙ্গে নিয়ত বেঁধে সানা পড়তে পারে; তাতে কোনো অসুবিধা নেই। আর ইমাম জোরে কেরাত পড়া অবস্থায় কেরাত শুনা ফরজ বিধায়, তখন সানা পড়া নিষেধ। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকের যে ভুলটা হয়ে থাকে তা হলো- ইমামকে যদি রুকুতে পায়, তাহলে প্রথমে তাকবির বলে হাত বাঁধে তারপর দ্রুত সানা পড়ে রুকুতে যায়। অনেক সময় সানা পড়তে পড়তে— ইমামের রুকু শেষ হয়ে যায়, ফলে ওই রাকাত ছুটে যায়; এটা ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে, এ অবস্থায় সানা পড়তে হবে না; হাতও বাঁধতে হবে না।