দৈনিক ওমরাহ করছেন লাখের বেশি মুসল্লি
মসজিদুল হারামে প্রতিদিন লাখো মুসল্লি ওমরাহ পালন করছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা ওমরাহর যাবতীয় কার্যক্রম পালন করছেন। তবে শুধু টিকা নেওয়া মুসল্লিরা মসজিদুল হারামে এসে নামাজ আদায়, ওমরাহ পালন, তাওয়াফ ও পরিদর্শন করতে পারবে।
এর আগে প্রতিদিন ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার। সেখান থেকে ৭০ হাজার বাড়ানো হয়েছিল। সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাতে আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞাপন
১৮ মাস পরে বিদেশিদের ওমরাহর সুযোগ
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে ওমরাহ যাত্রীদের আগমন সাময়িক স্থগিত ছিল। ফলে সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ ১৮ মাস বিদেশি ওমরাহ পালনের সুযোগ ছিল না। এরপর গত ১৫ আগস্ট থেকে কেবল যেসব বিদেশি মুসল্লি টিকা নিয়েছেন, তারা সৌদিতে আগমন করার সুযোগ লাভ করেন। তখন থেকে দৈনিক প্রায় ৬০ হাজার মুসল্লি ওমরাহ পালন করতে শুরু করেন। এরপর সংখ্যা বাড়িয়ে ৭০ হাজার করা হয়।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে মসজিদে হারামে থার্মাল ক্যামেরা ও জীবাণুমুক্ত রাখতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অত্যাধুনিক রোবট, বায়ো কেয়ার রোবট ও স্টেরিজেশন পাম্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য ৫০০ টি ইলেকট্রনিক সাবান সরবরাহকারী, এবং ২৫০টি ফ্যান বসানো হয়।
আরও পড়ুন : যেসব আমলে ওমরাহর সওয়াব
এছাড়াও জমজমের পানি বিতরণের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ওমরাহ যাত্রী ও মুসল্লিদের মধ্যে প্রতিদিন তিন লাখ লিটার জমজম পানির বোতল বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি মসজিদ হারাম চত্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরআন হিফজের পাঠদান পর্ব ও ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠান পুনরায় চালু হয়েছে।
ওমরাহ পালনে যে টিকা নিতেই হবে
ওমরাহ পালনে আগ্রহীদের বাধ্যতামূলকভাবে সৌদি সরকার অনুমোদিত করোনার টিকা সমূহের যে কোন একটির উভয় ডোজ গ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। টিকাগুলো হলো- এক. ফাইজার বায়োন্টেক। দুই. মডার্না। তিন. অ্যাস্ট্রাজেনেকা। চার. জনসন অ্যান্ড জনসন।
আরও পড়ুন : করোনাক্রান্ত হয়নি কোনো ওমরাহ পালনকারী
তবে যারা চীনের তৈরি টিকার উভয় ডোজ নিয়েছেন, ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যেতে তাদের ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার বাড়তি বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে হবে।