প্রতীকী ছবি

আল্লাহ তাআলা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। সর্বাবস্থায় নামাজ আদায় প্রতিটি মুমিনের ওপর অত্যাবশক। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলেও নামাজ আদায় করতে হবে। তবে তখন নামাজ আদায়ের ধরনে ও পদ্ধতিতে ভিন্নতা আসে।

অনেক সময় এরকম হয় যে, ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু জামাতে নামাজ শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তখন মুসল্লিকে কিছুটা বেসামালভাব পেয়ে বসে। কেউ কেউ নামাজ ভাঙবেন নাকি ধৈর্য ধরে শেষ করতে; তা বুঝতে পারেন না।

এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হচ্ছে, প্রস্রাবের চাপ যদি এত কম হয় যে— যার কারণে নামাজে খুশু-খুজু বিনষ্ট হয় না, তাহলে ওই অবস্থায় নামাজ পড়া দোষণীয় নয়। কিন্তু যদি চাপ এত বেশি থাকে যে— মনোযোগ সহকারে নামাজ পড়া কঠিন হয়ে পড়ে; তবে সেক্ষেত্রে জামাত ছেড়ে দিয়ে— আগে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে নিতে হবে। এরপর অজু করে একাকী বা জামাতে নামাজ পড়ে নেওয়া যাবে। কারণ, বেশি চাপ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। এতে নামাজের খুশু-খুজু নষ্ট হয়।

নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ পড়া বৈধ নয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৯১)

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (সা.) বলেন— মসজিদে নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন প্রথমে তা সেরে নেয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৮)

তথ্যসূত্র : মুসলিম : ৫৬০; শরহে মুসলিম, ইমাম নববি : ৫/৪৬; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৩; রদ্দুল মুহতার : ১/৬৪১