আখিরাতে সুপারিশ লাভের আমল
মৃত্যুর পর মানুষের সঙ্গে কবরে কিছুই যায় না। কেবল সৎ আমল ও নেক নেক কাজ পরকালের পাথেয় হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা আখিরাতে প্রতিটি আমলের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন। কাউকে কাউকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দেবেন— তাদের বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও সততার কারণে।
অনেকেই জানতে চান যে, কিছু বিশেষ আমল এমন আছে— যেগুলো পরকালে ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে? তাদের জন্য এখানে কয়েকটি আমল উল্লেখ করা হলো।
বিজ্ঞাপন
সুপারিশ করবে রোজা ও কোরআন
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “রোজা ও কোরআন বান্দার জন্য শাফাআত করবে। রোজা বলবে, ‘হে রব, আমি তাকে দিনের বেলা খাবার গ্রহণ করতে ও প্রবৃত্তির তাড়না মেটাতে বাধা দিয়েছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার শাফাআত কবুল করুন।’ কোরআন বলবে, ‘হে রব, আমি তাকে রাতের বেলা ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’ অতঃপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে।” (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৮৩৯; মুসতাদারাক হাকিম, হাদিস : ২০৩৬)
আরও পড়ুন : ৫ আমলে সহজে জান্নাত লাভ
প্রতিদিন সুরা মুলক পড়া
আল্লাহ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট এমন একটি সুরা আছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর সেটা হলো তাবা-রাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪০০; তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯১)
যে দুই সুরা পাঠে আখিরাতে সুপারিশ লাভ হবে
নাওয়াস ইবনে সামআন (রা.) বলেন, আমি নবী কারিম (রা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘কিয়ামতের দিন কোরআন ও কোরআনের এমন তিলাওয়াতকারীদের আনা হবে, যারা কোরআনের ওপর আমল করেছে। এর অগ্রভাগে থাকবে সুরা বাকারা ও সুরা আলে ইমরান। নাওয়াস (রা.) আরও বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এই সুরা সম্পর্কে (এমন আশ্চর্যজনক) তিনটি উদাহরণ দিয়েছিলেন, যা আমি কখনো ভুলিনি। রাসুল (সা.) বলেছিলেন, ‘এই সুরা দুটি এমন হবে যেন দুটি কালো শামিয়ানা (ছায়া দানকারী চাদর) বা দুটি মেঘের খণ্ড, যার মাঝখানে আছে ঔজ্জ্বল্য। কিংবা তা ডানা মেলে উড়ে চলা দুটি পাখির ঝাঁকের মতো (ছায়াদানকারী হয়ে) হবে। সুরা বাকারা ও সুরা আলে ইমরান— এই সুরা দুটি পাঠকারী ব্যক্তির পক্ষে বিতর্ক করবে (অর্থাৎ তাদের পক্ষ নিয়ে যুক্তি দিতে থাকবে)। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৭৬১)