জ্বর থেকে মুক্তির দোয়া
সুস্থ থাকতে চায় না কে? ছোট-বড়, তরুণ-যুবা ও বৃদ্ধ-বণিতা— সবাই চায় সুস্থ থাকতে। কিন্তু এরপরও মানুষের জীবনে অসুস্থতা আসে। স্বাভাবিতই অসুস্থতার কারণে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসে। কষ্টদায়ক কিংবা অস্বাভাবিক জীবন যাপন কেউ করতে চায় না। তাই অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে ও পুরোপুরি সুস্থ হতে চেষ্টায় কেউ কমতি করে না।
কেউ অসুস্থ হলে, ইসলাম চিকিৎসা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে। পাশাপাশি কিছু আমলও শিখিয়ে দিয়েছে, যেগুলোর দরুণ আল্লাহর রহমতে দ্রুত সুস্থতা লাভ হয়। হাদিসের কিতাবগুলোতে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের নিরাময়ে নানা আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। এই লেখায় জ্বর থেকে মুক্তি লাভের দোয়া আলোচিত হবে।
বিজ্ঞাপন
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মৌসুমি অসুস্থতাগুলোর মধ্যে জ্বর অন্যতম। জ্বর এলে আরও নানা অসুস্থতাও দেখা দেয়। তাই আক্রান্ত ব্যক্তি জ্বর থেকে দ্রুত নিরাময়ের চেষ্টা করে। কারণ, জ্বর ও আনুসাঙ্গিক অসুস্থতার দরুন— কোনো মানুষই স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে না।
জ্বর নিরাময়ে দোয়া পড়বেন
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘জ্বর ও অন্যান্য ব্যথায় আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের নিম্নোক্ত দোয়া পড়ার শিক্ষা দিতেন।
দোয়াটির আরবি :
بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল কাবির, আউজুবিল্লাহিল আজিমি মিন শাররি কুল্লি ইরকিন না’আর, ওয়া মিন শাররি হাররিন নার।
আরও পড়ুন : ইসলামে রোগী দেখতে যাওয়ার নিয়ম
অর্থ : মহান আল্লাহর নামে, আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি; প্রবল প্রবাহমান রক্তচাপের আক্রমণ থেকে এবং জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুনের অনিষ্ট থেকে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০৭৫; নাসায়ি; মকবুল দোয়া : ১৬৩)
প্রসঙ্গত, তাৎক্ষণিকভাবে জ্বর ও অন্যান্য নিরাময়ের জন্য এই দোয়া আবশ্যিকভাবে উপযুক্ত। তবে রোগ থেকে মুক্ত থাকতে— অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্য সচেতনা জরুরি। পাশাপাশি চিকিৎসা গ্রহণ করাও চাই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সব ধরনের অসুস্থতা থেকে মুক্ত রাখুন, আমিন।