কাবা শরিফের ইমাম ও খতিব শায়খ বানদার আবদুল আজিজ বালিলাহ। ছবি : সংগৃহীত

সুবহে সাদিক থেকে ফজরের নামাজ পড়া পর্যন্ত— এই সময়ের মধ্যে কি কোনো ধরনের নফল নামাজ পড়া যাবে? না পড়া গেলে কেন যাবে না, কোরআন-হাদিসের প্রমাণসহ জানাবেন। এমনটা উল্লেখ করে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন।

মূলত সুবহে সাদিক থেকে ফজরের ওয়াক্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে ফজরের সুন্নত ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামাজ পড়া নিষেধ। এই ব্যাপারে হাদিসে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হাফসা (রা.) বলেন, ‘যখন ফজর উদিত হত, তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু ফজরের দুই রাকাত সুন্নত সংক্ষেপে (ছোট সুরা দিয়ে) পড়তেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭২৩)

আরও পড়ুন : ফজরের সময় ঘুম ভাঙতে যেসব কাজ করবেন

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ‘সুবহে সাদিক হওয়ার পর দুই রাকাত সুন্নত ছাড়া কোনো (নফল) নামাজ পড়া যাবে না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৪৭৫৭)

সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (রহ.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম বলেছেন- ‘(ফজরের) আজানের পর দুই রাকাত সুন্নত ছাড়া কোনো (নফল) নামাজ নেই।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৪৭৫৬)

হাসান বসরি, মুহাম্মাদ ইবনে সিরিন ও আতা (রহ.) প্রমুখ তাবেয়িগণও একই কথা বলেছেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৬৪১০; মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৪৭৫৩)

আরও পড়ুন : ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব

আরও দেখুন : আল-মুহিতুল বুরহানি : ২/১০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/৬৮; ফাতহুল কাদির : ১/২০৮-৯; তাবয়িনুল হাকায়েক : ১/২৩৪; শরহুল মুনইয়া, পৃষ্ঠা : ২৩৮; আদ্দুররুল মুখতার : ১/৩৭৫

প্রশ্নটি করেছেন : আবদুর রশিদ সাইফুল্লাহ। উল্লাপড়া, সিরাজগঞ্জ।

ঢাকা পোস্টের ইসলাম বিভাগে আপনি প্রশ্ন ও জীবনঘনিষ্ঠ ধর্মীয় লেখা পাঠাতে পারেন। প্রশ্ন ও লেখা পাঠাতে মেইল করুন : dhakapostislam@gmail.com