ছবি : সংগৃহীত

অজু করার প্রয়োজনীয়তা সর্বোতভাবে প্রযোজ্য। অজু মানে হলো- পবিত্রতা অর্জন। নামাজ পড়ার জন্য অজু আবশ্যক। অজু ছাড়া নামাজ হয় না। কোরআন স্পর্শ করার জন্য অজু শর্ত। অজুর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ মাফ করেন। বিপুল সওয়াব ও পুণ্য দান করেন।

অজু করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) অজুতে কোনো স্থান শুষ্ক থাকার ব্যাপারে সাবধান করেছেন। যেন কোনো অঙ্গ শুষ্ক না থাকে। কারণ, শুষ্ক থাকলে জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে বলে সতর্ক করেছেন।

তাই অজু করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু মাসআলা জেনে রাখা চাই। পাঠকদের জন্য এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা উল্লেখ করা হলো।

দাড়ি ধোয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে

♦ অজুকারীল দাড়ি যদি ঘন হয়, তাহলে ঝুলে থাকা পশম ছাড়া দাড়ির উপরিভাগ ধৌত করা ওয়াজিব। (আসার : ১/২০)

♦ দাড়ি যদি পাতলা হয়, তাহলে দাড়ির ওপরের ভাগ ধৌত করলে হবে না। বরং দাড়ির ভেতরে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছাতে হবে। (ইবনে আবি শায়বা : ১/১৪)

♦ দাড়ির ঝুলে থাকা পশমগুলো ধোয়া ও মাসেহ করা ওয়াজিব নয়। (ইবনে আবি শায়বা : ১/১৪)

নখ পানি পৌঁছানো ও অন্যান্য

♦ অজু করার সময় নখে যদি এমন কোনো বস্তু লেগে থাকে, যার কারণে নখ পর্যন্ত পানি পৌঁছতে পারে না; যেমন—মোম, আঠা ও পালিশ ইত্যাদি তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করে এমনভাবে ধৌত করতে হবে, যেন সর্বাঙ্গে পানি পৌঁছে। (সুনানে কুবরা, হাদিস : ৩৬৭)

♦ নখের সামান্য ময়লা ইত্যাদি চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছাতে প্রতিবন্ধক হয় না। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ : ১/২৩৮)
অর্থাৎ ময়লা যদি এমন মিহি হয় যে, যার ভেতর দিয়ে পানি পৌঁছা সম্ভব; এমন অবস্থায় যতক্ষণ পর্যন্ত সেখানে পানি পৌঁছা সুনিশ্চিত হয়, ততক্ষণ সন্দেহ না করা ভালো।

আংটি, চুল-গোঁফ মুণ্ডানো পর কিছু করতে হবে?

♦ সংকীর্ণ আংটিকে যদি নাড়াচড়া করা ছাড়া ভেতরে পানি না পৌঁছে, তাহলে তা নাড়াচড়া করতে হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪৪৩)

♦ ক্ষত স্থানে ধোয়ার কারণে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হলে, ক্ষতস্থানে লাগানো ওষুধের ওপর মসেহ করলেই হবে। (সুনানে কুবরা : ১১২৯)

♦ অজুতে মাথা মাসেহ করার পর যদি কেউ চুল চেঁছে ফেলে, তাহলে পুনরায় মাসেহ করতে হবে না। (আল ফিকহুল ইসলামী : ১/৩৮৪)

♦ অজু করার পর যদি কেউ নখ কাটে বা মোছ চেঁছে ফেলে, তাহলে পুনরায় সেগুলো ধৌত করতে হবে না। (বুখারি : ১/৩০১)।