প্রতীকী ছবি

মুমিনের জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ফজরের নামাজের গুরুত্ব অন্য চার ওয়াক্তের চেয়ে বেশি। তাই হাদিসে আল্লাহ রাসুল (সা.) ফজর নামাজ আদায়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। ফজর নামাজ আদায় করলে— অনেক ধরনের পুরস্কার লাভের কথা হাদিসে এসেছে।

নিম্নে ফজরের নামাজ পড়ার চারটি পুরস্কারের কথা আলোচনা করা হলো—

এক. মুনাফিকির তালিকা থেকে বাদ

মহানবী (সা.) বলেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক ভারী কোনো নামাজ নেই। এ দুই নামাজের ফজিলত যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫৭)

দুই. পূর্ণ নুরের সুসংবাদ

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে মসজিদগুলোতে যাতায়াতকারীদের কিয়ামতের দিনের পরিপূর্ণ নুরের সুসংবাদ দাও।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৭৮১)

তিন. ফেরেশতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ

এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা পালাবদল করে করে তোমাদের মাঝে আসেন; একদল দিনে আসে, আরেক দল আসে রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্রিত হন। অতঃপর তোমাদের মাঝে রাত যাপনকারী দলটি আসমানে চলে যান। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে? অথচ তিনি তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। জবাবে তাঁরা বলেন, আমরা তাদের নামাজে রেখে এসেছি। আর আমরা যখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম, তখনো তারা নামাজরত ছিলেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৫৫)

চার. আল্লাহর দেখা ও দিদার

জারির বিন আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, ‘একবার আমরা নবী করিম (সা.)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি রাতে (পূর্ণিমার) চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ওই চাঁদকে তোমরা যেমন দেখছ, ঠিক তেমনি অচিরেই তোমাদের প্রতিপালককে তোমরা দেখতে পাবে। তাঁকে দেখতে তোমরা কোনো ভিড়ের সম্মুখীন হবে না। কাজেই সূর্যোদয়ের আগের ও সূর্যাস্তের আগের নামাজ আদায় করতে পারলে— তোমরা তা-ই করবে।’ (সুরা কাহফ, আয়াত : ৩৯)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তাওফিক দান করুন।