কোরবানির বর্জ্য অপসারণে যে সওয়াব
পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার ধর্ম ইসলাম। অপরিচ্ছন্নতা ও অপবিত্রতার স্থান ইসলামে নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ঈদুল আজহার সময়ে কোরবানিদাতাদের অবহেলার কারণে কোরবানির বর্জ্যে পরিবেশ দূষিত হয়ে যায়।
বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কোরবানির পশুর রক্ত, হাড়গোড়, বিষ্ঠা ও আবর্জনায় কোনো কোনো এলাকা বিশালাকারের ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়। ঈদের দিনের মতো পবিত্র ও সুন্দর দিনে উৎকট দুর্গন্ধে খুশি ও আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। মূলত কোরবানির পশুর বর্জ্য সময়মতো অপসারণ না করার কারণেই এমনটা হয়।
বিজ্ঞাপন
যত্রযত্র কোরবানির বর্জ্য ফেলে প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়ার অধিকার ইসলাম কাউকেই দেয়নি। প্রতিবেশী, আশপাশের মানুষকে কোনোভাবে কষ্ট দেওয়া জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার অন্যতম কারণ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যার কষ্ট থেকে আশপাশের মানুষেরা নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (বুখারি, হাদিস : ৫/২২৪০; মুসলিম, হাদিস : ১/৬৮)
ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে অবহেলা নয়
কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যাপারে অবহেলা ইমানের দুর্বলতারই প্রমাণ বহন করে। কারণ, ময়লা-আবর্জনা, কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলাও ইমানের অন্যতম শাখা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঈমানের ৭০টিরও বেশি শাখা আছে, তন্মধ্যে ন্যূনতম শাখা হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৫)
কোরবানির বর্জ্য কিংবা যেকোনো কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে পরিবেশকে বাসোপযোগী রাখতে সবারই এগিয়ে আসা উচিত। রাস্তাঘাট থেকে কষ্টদায়ক দ্রব্য সরিয়ে নেওয়া ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেউ আবর্জনা ফেলে গেলে সে নিজে গুনাহগার হবে। তবে অন্যদেরও উচিত তা সরাতে এগিয়ে আসা। বিনিময়ে মিলবে আল্লাহর দরবার থেকে ক্ষমা ও পুরস্কার।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তি রাস্তায় চলতে চলতে একটি কাটাওয়ালা ডাল দেখতে পায়, সে ডালটি সরিয়ে দেয়। আল্লাহ তার এ কাজ কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১/২৩৩; মুসলিম, হাদিস : ৩/১৫২১)