যে দোয়া করলে জান্নাত নিশ্চিত হয়
ইসলামে আমল, দোয়া ও জিকির খুবই সহজ। চাইলে মানুষ যেকোনো সময় ছোটখাটো আমল ও জিকির-আজকার করতে পারে। উপরন্তু এগুলোর বিনিময়ে বিপুল সওয়াব দেওয়া হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট হয়ে অগণিত পুণ্যে সমৃদ্ধ করেন। আখিরাতে সর্বোত্তম বিনিময় দান করেন।
তন্মধ্যে একটি দোয়া রয়েছে, যে দোয়াটি পড়লে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা তার ওপর সন্তুষ্ট হওয়া আল্লাহর হক হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো রাসুল (সা.)-এর দায়িত্ব।
বিজ্ঞাপন
আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন- ‘যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দোয়া বলবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮৪; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৯; মুজামু কাবির, হাদিস : ৮৩৮; মুজামুস সাহাবাহ : ১৬৯৬)
رَضيتُ بالله رَبّاً ، وبالإسلامِ ديناً ، وبمحمَدٍ نَبِيًّا وَّرَسولاً
উচ্চারণ : রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা’।
অর্থ : আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বিন এবং মুহাম্মদ (সা.)-কে রাসুল হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছি।
অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল তিনবার এই দোয়া পড়বে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে নেকি বৃদ্ধির দ্বারা সন্তুষ্ট করবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২/১৭৬)
আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব থেকে বর্ণিত আছে, তিন রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন- ‘যে আল্লাহকে প্রতিপালক, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মদ (সা.)-কে রাসুল হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছে— সে ঈমানের স্বাদ পেয়েছে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৪)
সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আজান শুনে নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে, তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ، رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا ، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا ، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا ، غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু; রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা।
সাহাবি মুনাইজির (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি- ‘যে সকালে বলবে, ‘রাদিতু বিল্লাহি রব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।’ তাকে হাতে ধরে জান্নাতে পৌঁছানোর জিম্মাদার আমি। (মুজামুল কাবির, হাদিস : ২০/৩৫৫; সিলসালাতুস সাহিহা, হাদিস : ২৬৮৬; আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব, হাদিস: ৯৭১)
সাওবান (রা.) আল্লাহর রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় উপরোক্ত দোয়াটি পড়বে, তার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যাওয়া আল্লাহ তাআলার হক।’ (আল-আজকার, হাদিস : ২১৪)